বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বরিশাল লঞ্চঘাটে বসুন্ধরার সফল নদী খনন

নাব্যতা সংকট থাকবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাব্যতা সংকট দূর করতে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় নদী খননকাজ শেষ করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান ‘বসুন্ধরা ড্রেজিং’ এখানে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনমিটার মাটি খনন করেছে। এখন অভ্যন্তরীণ রুট ও ঢাকা-বরিশাল রুটের কোনো লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে সমস্যা হবে না। বহুদিন পর কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকার খননকাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা। বরিশাল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি একিন আলী মাস্টার বলেন, ‘নাব্যতা সংকটের কারণে একতলা ও দোতলা নৌযান এত দিন ঘাটে ভেড়ানোই দায় ছিল। এর আগে নামমাত্র ড্রেজিংয়ের কারণে এ সমস্যা হয়েছিল। এর মূলে ছিল অনুন্নত সরকারি ড্রেজার দিয়ে নিম্নমানের খনন ও কাজে লুকোচুরি। তবে এবার বসুন্ধরা ড্রেজিং যে খননকাজ করেছে তা সন্তোষজনক। এখন ঘাটে লঞ্চ ভেড়াতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আশা করি, নদীর নাব্যতা সংকটও থাকবে না।’ বসুন্ধরা ড্রেজিংয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. রুহুল কুদ্দুস  বলেন, বরিশাল-ঝালকাঠি-পাথরঘাটা-বরগুনা  

এলাকায় প্রায় ৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নদীগুলোর নাব্যতা সংকট কাটাতে খননকাজ হবে। বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় ওই প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় খননকাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ওই খননকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তিনি বলেন, খননকাজ খুব সূভাবে করা হয়েছে। আশা করি, নাব্যতা সংকট থাকবে না। লঞ্চ ভিড়তে কোনো সমস্যা হবে না।

বসুন্ধরা ড্রেজিংয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিউল্লাহ  বলেন, আর দু-একদিনের মধ্যে লঞ্চঘাট এলাকার নদী খননকাজ শেষ হয়ে যাবে। বরিশাল-ঝালকাঠি-পাথরঘাটা-বরগুনা নদী এলাকার একটি প্রকল্পের আওতায় বসুন্ধরা ড্রেজিং এবার বরিশাল নৌবন্দর এলাকায় প্রায় ৪৫ হাজার ঘনমিটার মাটি কেটেছে। আর এ খননের ফলে লঞ্চঘাট এলাকার নাব্যতা সংকট অনেক কমে গেছে। এ কারণে একতলা কিংবা দোতলা লঞ্চ ঘাটে ভেড়াতে কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।

বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন, বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকার নদী খননকাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এবারে যে ড্রেজিং হয়েছে তাতে আশা করি আর লঞ্চ ভেড়াতে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না চালকদের। কারণ বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি মাটি কাটা হয়েছে এবং মানসম্মত ড্রেজিং কোম্পানি কাজটি করেছে। সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, প্রতিবার শীত মৌসুমে বন্দর এলাকায় নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ ভিড়তে সমস্যা হয়। এ বছর শীত মৌসুমের আগেই খননকাজ শেষ হওয়ায় সমস্যা আর থাকবে না। তা ছাড়া এবারই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খননকাজ হওয়ায় নাব্যতা সংকট আর থাকবে না।

সর্বশেষ খবর