সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কঠিন দুঃসময়েও এক হতে পারছে না চট্টগ্রাম য্বুদল

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

কঠিন দুঃসময়েও এক হতে পারছে না চট্টগ্রাম য্বুদল

দলের কঠিন দুঃসময়েও এক হতে পারছে না চট্টগ্রাম মহানগর য্বুদল। ১১ জনের একটি অপূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েই পার করে দিল গত ৪ বছর। শুরুর দিকের দেড়-দুবছর নগর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু গত দুবছরে আন্দোলনতো দূরে থাক, একটিও যৌথ সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে সভাপতি কাজী বেলাল ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ চলছে বিএনপির এই অঙ্গ সংগঠনটির ভিতরে-বাইরে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে এই অসন্তোষের সমাপ্তি ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান ও সাবেক ছয়জন নেতা। নগর যুবদল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই কেন্দ্রীয় যুবদল কমিটি গঠনের পরপরই চট্টগ্রামের কমিটি গঠন হবে। কমিটির পূর্ণ মেয়াদ দুবছর পার হয়ে আরও দুবছর পার হওয়ার পথে। যুবদলের একটি মাত্র থানা কমিটি ও পাঁচটি ওয়ার্ড কমিটি ছাড়া অন্য থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো করতে পারেনি বর্তমান কমিটি। গত প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নগরীর চাদগাঁও থানা ছাড়া অন্য কোথাও যুবদলের কোনো কমিটি নেই। তেমনিভাবে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে কমিটি থাকলেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়হীনতা ও অন্তঃকোন্দলের কারণে কোনো থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন হয়নি। আবার বিএনপির এই চলমান দুঃসময়ে গত দুবছরে সমন্বিত উদ্যোগে কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয় বর্তমান কমিটির নেতারা।  বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসারী সভাপতি কাজী বেলাল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে শুরু করে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন পৃথকভাবে। তেমনি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিও পৃথক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তার অনুগামীদের নিয়ে। তাই চট্টগ্রামে যুবদল খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে নতুন কমিটিতে সভাপতি পদ লাভের জন্য কেন্দ্রে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সভাপতি কাজী বেলাল, বর্তমান সহসভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সহসভাপতি শাহজাহান কবির শাহীন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকের জন্য লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ও নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ আকবর।

এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, গত দুবছর আমাদের উপর হুলিয়া ও সরকারি হয়রানির কারণে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ও দূরত্ব তৈরি হয়েছে ঠিকই। আমরা অনেকেই কারাবরণ করেছি এবং আরও বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে খুব অল্পসময়ের মধ্যে নতুন একটি কমিটি হবে বলে আমরা আশ্বাস পেয়েছি এবং সেমতে কাজ করে যাচ্ছি।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী শাহেদ আকবর জানান-গত চার বছরে বর্তমান ১১ সদস্যের কমিটির ৪/৫জনকে আমরা একদিনের জন্যও চোখে দেখিনি। এভাবে একটি সংগঠন চলতে পারে না। আর ১১ জনের একটি অপূর্ণাঙ্গ কমিটির ৪ বছর কাটিয়ে দেওয়াটা যেমন বিস্ময়কর তেমনি হাস্যকরও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর