সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রংপুরে বাহাই নেতাকে গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা বাহাই সম্প্রদায়ের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক রুহুল আমিনকে (৪৪) গুলি করে গুরুতর আহত করেছে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ)। তাকে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, গতকাল সকালে রংপুর নগরীর আরকে রোড এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে তিন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে রুহুল আমিনকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। রমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আবু তালেব জানান, একটি গুলি রুহুল আমিনের বাম কাঁধের নিচে ও বুকের উপরে বিদ্ধ হয়। আরেকটি গুলি লেগে বাম পা জখম হয়। ভিতরের গুলি বের করা সম্ভব না হওয়ায় তাকে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রুহুল আমিনের স্ত্রী সাইফুন নাহার জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ির সামনে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন রুহুল। এ সময় তিনিও তার সঙ্গে ছিলেন। রিকশায় উঠার সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক এসে পরপর দুটি গুলি চালায়। তখন তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, কর্মচারী ইউনিয়নের একটি সিন্ডিকেট গত শনিবার সকালে রুহুল আমিনকে তার কার্যালয়ে গিয়ে হুমকি দেয়। এ ছাড়া রাতেও তারা মুঠোফোনে তাকে হুমকি দেয়।

এদিকে গুলির ঘটনার পর পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রুহুল আমিনের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বিকালে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন রমেক হাসপাতাল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন ও ওই ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্রাহাম লিংকনের ছোট ভাই আবু রায়হানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী জানান, হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন রুহুল আমিন। এনিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে রুহুলের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্রাহাম লিংকনও দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর