শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে বিভক্ত সিলেট বিএনপি

বিপাকে দলের নেতা-কর্মীরা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

তৃণমূলের দ্বন্দ্বে বিভক্ত সিলেট বিএনপি

সিলেট জেলা বিএনপিতে আবারও বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন জেলার শীর্ষ নেতারা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। দলের দুঃসময়ে এমন বিভাজন সংগঠনের ক্ষতি ছাড়া সুফল বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন তারা। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাহের শামীম ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদা। তখন শামীমকে সমর্থন দেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। আর হুদার পক্ষে মাঠে নামেন ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা ও সিলেট-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার মুক্তাদিরের অনুসারীরা। এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ায় ভরাডুবি হয় উভয় প্রার্থীর। নির্বাচনের পর কেন্দ্র ও জেলার নেতাদের হস্তক্ষেপে সদর উপজেলা বিএনপির বিভক্তি নিরসন করে ঐক্যের সৃষ্টি হয়। তবে সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে পুরনো বিভক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নতুন মেরুকরণ তৈরি হয় কাহের শামীম ও নূরুল হুদা বলয়ের। মুক্তাদিরের বলয় ছেড়ে বের হয়ে যান নূরুল হুদা। শমসের বলয়ের একাংশের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি তৈরি করেন নিজস্ব গ্রুপ। অন্যদিকে, শমসের মবিন ও মুক্তাদির বলয়ের একাংশের নেতা-কর্মীদের নিজের বলয়ে ভেড়ান কাহের শামীম। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ উভয় নেতা আবারও প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে বিভক্তি তৈরি করেন দলের মধ্যে- এমন দাবি দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীর। মঙ্গলবার উভয় গ্রুপ পৃথক সম্মেলন করে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করে। এ কে এম তারেক কালাম সভাপতি, আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক ও হাবিবুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে কাহের শামীম গ্রুপ।  অন্যদিকে নূরুল হুদা গ্রুপের সম্মেলন থেকে আফরোজ মিয়া সভাপতি, মুহিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক ও আবদুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। সদর উপজেলা বিএনপির এই কমিটি নিয়ে বিভক্তির ঢেউ লাগে জেলা বিএনপিতেও। কাহের শামীম গ্রুপের সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এ ছাড়া ওই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাহের শামীম ও আলী আহমদ। বিভক্তির কারণে সম্মেলন দুটিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন অন্য  যুগ্ম আহ্বায়করা।  এদিকে সম্মেলনের পর বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক। এতে দিলদার হোসেন সেলিম, আবদুল গফ্ফার ও আবদুর রাজ্জাক বিভক্তির সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত দুই কমিটিকেই প্রত্যাখ্যান করে বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অনৈক্যের মাধ্যমে দুই কমিটি দলের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর