তফসিল ঘোষণা না হলেও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। দলীয়ভাবে এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রার্থীরা চাঙ্গা হয়ে উঠছেন। শ্রীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করবেন বলে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন এমন সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা আওয়ামী লীগে সাতজন, বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত একজন এবং জাতীয় পার্টি থেকে দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গেছে। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের প্রচারণা লক্ষ্য করা না গেলেও গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের বেশির ভাগ প্রার্থীই থাকবেন বলে শোনা গেছে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান মেয়র ও শ্রমিক লীগ নেতা আানিছুর রহমান, শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আহসান উল্লাহ, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বুলবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট হারুন-অর রশীদ ফরিদ।
বিএনপির একক প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ শহীদের নাম শোনা যাচ্ছে। গত প্রায় দুই বছর আগে পৌর নির্বাচনের আলোচনা শুরু হলে বিএনপি তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। তফসিল ঘোষণার পর পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দুবছর আগের প্রার্থীই এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে কিনা জানতে চাইলে শ্রীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. কাজী খান বলেন, এখন পর্যন্ত পৌর নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে শহীদুল্লাহ শহীদ। কেউ যদি দলীয়ভাবে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং তৃণমূল থেকে পুনরায় প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব করে তবে সেটা বিবেচনা করে দেখা হবে। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম এমএ এবং পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মণ্ডল।