বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রংপুর মেডিকেলে ছাত্রলীগ ছাত্রদলের হামলা ভাঙচুর

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গতকাল সকালে কলেজের দুটি বিভাগে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন। এ সময় তারা অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ কর্মী আহত হয়েছেন বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে রংপুর বিএমএর সভাপতি ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হামলাকারীরা কলেজ অধ্যক্ষের মদদপুষ্ট।’ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ আবু তালেব বলেন, ‘অধ্যক্ষ একটি সেমিনারে যোগ দিতে বুধবার ভোরে ভারতে গেছেন। হামলাকারীরা অধ্যক্ষের মদদপুষ্ট কিনা জানি না। তবে পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীরাই এ হামলা করেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক।’ পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও কলেজ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক ফেরদৌস রিগানসহ ৬৮ জন অকৃতকার্য হন। এদের বেশির ভাগই ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের  নেতা-কর্মী। কলেজ  শাখা  ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ‘পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় কলেজের একাডেমিক ভবনে প্যাথলজি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফুজুল হক তালুকদার রাকিবও তাদের সঙ্গে ছিলেন।’

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিব বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত ও বিএনপির দুই নেতার ফাঁসির রায় বহাল রাখায় আমরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় (ড্যাব) সদস্য অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র বর্মণের কার্যালয়ে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রশিবির নেতারা বৈঠক করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের ওপর অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর