শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মন্ত্রীর সামনে ওয়াসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ মেয়র-কাউন্সিলরদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মন্ত্রীর সামনে ওয়াসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ মেয়র-কাউন্সিলরদের

স্থানীয় সরকার, পল­ী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সামনে ওয়াসার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা। গতকাল নগর ভবন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের প্রায় ছয় মাস পার হলেও ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার-কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না। ওয়াসার কাজে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওয়াসার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি, হুমায়ুন কবির, ফারহানা ইসলাম ডলি প্রমুখ। দক্ষিণ সিটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় আনতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের নিজস্ব উদ্যোগে ৪৩টি সিসি ক্যামেরার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকাকে বিভাজন করার সময় রাজস্বের দিকটা দেখা উচিত ছিল। আগে অবিভক্ত সিটিতে যে পরিমাণ রাজস্ব আসত, তার ৩৫ ভাগ ছিল দক্ষিণ সিটির এবং ৬৫ ভাগ ছিল উত্তর সিটি এলাকায়। বিভক্ত হওয়ার পর ৩৫ ভাগ আয় দিয়ে এখন ব্যয় করতে হচ্ছে ৬৫ ভাগ। ফলে আমরা আর্থিকভাবে আরও পিছিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য ওয়াসা পানি থেকে যে আয় করছে, তার একটি অংশ দক্ষিণ সিটিকে দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান মেয়র। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়, ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়, অথচ সংশ্লিষ্টদের নকশা দেখানো বা জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করা হয় না। তিনি বলেন, ওয়াসাকে সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দেওয়া হোক।

কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফি বলেন, ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ, মুখে দেওয়া যায় না। ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার-কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যায় না। জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় নাগরিকদের সুবিধার জন্য ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা এগুলো করছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে অথচ তাদের কোনো অনুমতি নেয় না। এটা ঠিক না। বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলব। মন্ত্রী বলেন, জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি না করে কীভাবে আয় বাড়ানো যায় সেটি নির্ধারণ করব। ওয়াসা যে আয় করে তার থেকে একটা ন্যায্য হিস্যা আপনাদের পাওয়ার প্রস্তাবও আমরা বিবেচনা করব।

সর্বশেষ খবর