শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শুল্ক জটিলতায় দুই হাজার গাড়ি আটকা মংলায়

সরকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আমদানিকারকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শুল্ক জটিলতায় মংলা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে দুই হাজার ৭৯টি গাড়ি। সরকার এগুলো পুলিশের তদারকিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক ও ডিলারদের সংগঠন বারভিডা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বিভাগ ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে গাড়িগুলোর রিজার্ভ মূল্য নির্ধারণে কাস্টমস, পুলিশ এবং বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে বন্দর থেকে গাড়ি অপসারণ করে পুলিশের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

সম্প্রতি খুলনায় এক সংবাদ সম্মেলনে বারভিডা সভাপতি হামিদ শরীফ বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত গাড়ি আমদানিকারকদের গলা টিপে হত্যার শামিল। এটি একটি ষড়যন্ত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘মংলা বন্দর এক সময় কার্যত পরিত্যক্ত ছিল। ২০০৯ সাল থেকে এই বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হলে আবারও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে ওঠে মংলা। কিন্তু এ বন্দরকে ভারমুক্ত করার নামে এখন আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ বারভিডা সভাপতি বলেন, ‘২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই দুই হাজার ৭৯টি গাড়ি আমদানি নীতিমালা ও শুল্কায়ন জটিলতায় খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে পড়ে আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এসব গাড়ি আমদানি নীতি ভেঙে আনলেও তা নিষিদ্ধ নয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন আদেশে শুল্ক ছাড় দিয়ে গাড়িগুলো বন্দর থেকে খালাসের নির্দেশনা দেয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় দীর্ঘ এক বছরেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। গাড়ি ছাড়করণে বিলম্বের কারণে আমদানিকারকদের বিনিয়োগ করা বিপুল অর্থ ঝুঁকিতে পড়েছে। এর মধ্যেই আবার এসব গাড়ি পুলিশের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন আদেশের পরিপন্থী।’

বারভিডা সাধারণ  সম্পাদক  মাহবুবুল  হক  চৌধুরী  বাবর বলেন, ‘এসব গাড়ি ৫৪ জন আমদানিকারকের। এগুলোর রিজার্ভ মূল্য নির্ধারণে কাস্টমস, পুলিশ এবং বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমদানিকারকদের কাউকে এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়নি।’ গাড়িগুলো  পুলিশের  তত্ত্বাবধানে না দিয়ে দ্রুত ছাড় করার দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

সর্বশেষ খবর