রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিদ্রোহী নিয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রামে বিএনপি বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বিদ্রোহী নিয়ে বরিশালে আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রামে বিএনপি বিপাকে

বরিশালের দুই পৌরসভায় চার বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বিপাকে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে একটি পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এদিক থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে শঙ্কা নেই দলটির। মুলাদী পৌরসভায় বর্তমান মেয়র শফিকুজ্জামান রুবেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, উপজেলা শ্রমিক লীগ আহ্বায়ক মো. দিদারুল আহসান খান ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজম্ম লীগের সহ-সভাপতি এম এ আজিজ হাওলাদার।

দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনো শক্তিই তাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে পারবে না। কোনো অবস্থায়ই তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে বানারীপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা। একইভাবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাস্টার বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন উদয়কাঠী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. শাহে আলম মিয়া। মঞ্জু মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো চাপের কাছে তিনি নতি স্বীকার করবেন না। শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। অন্যদিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শাহে আলম মিয়া কৌশলগত কারণে প্রার্থী হয়েছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুছ এমপি বলেন, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন হচ্ছে। ভোটাররা ব্যক্তির চেয়ে দলের প্রতীককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার পরও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলে তা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান এমপি ইউনুছ। বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন বলেন, বরিশালের ছয় পৌরসভায় বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। বানারীপাড়ায় একজন ছায়া প্রার্থীকে দিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করানো হয়েছিল কৌশলগত কারণে। নির্ধারিত সময়ে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। এদিকে চট্টগ্রামের চার পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। এর মধ্যে পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিলেও বিএনপি নেতা ইব্রাহীম সওদাগর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া সীতাকুণ্ডে পৌর বিএনপির সদস্য আবুল মনছুর প্রার্থী মনোনীত হলেও বিদ্রোহী হিসেবে বিএনপি নেতা তৌহিদুল হক চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ায় পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন দলীয় প্রার্থী হলেও সেখানে মফিজুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিন পৌরসভায় মেয়র পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে কাজ করবেন বলে মনে করেন পৌর নির্বাচন পরিচালনায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অন্যতম নেতা আসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আদর্শের কোনো নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না।’

সর্বশেষ খবর