বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্যারিস সম্মেলনে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে : মঞ্জু

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর ব্যাপারে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা একমত হয়েছেন। এই প্রথম জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি সর্বসম্মত চুক্তি হতে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা হয়েছে। তাই এই চুক্তি থেকে সুফল পেতে আমাদের সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্যারিসে জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে গতকাল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পৃথক কোনো অবস্থান ছিল না। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জোটে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি কোনো দেশের একক সমস্যা নয়। পৃথিবীর সব দেশই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং সব দেশকে মিলিতভাবেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন খাতে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশ কারও জন্য বসে থাকেনি। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এ খাতে ভালো কাজ করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের চ্যাম্পিয়ন অব আর্থ পুরস্কার পেয়েছেন। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা এখন বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেছে। এটি একদিনে হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে কয়টি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ জন্য বাংলাদেশ প্রশমনের (মিটিগেশন) চেয়ে অভিযোজনের (অ্যাডাপটেশন) ওপর বেশি জোর দিয়েছে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, জলবায়ু চুক্তি একটি কঠিন এবং জটিল বিষয়। বিভিন্ন দেশ এবং গ্রুপের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া কঠিন ছিল। ভারত এবং চীন এক্ষেত্রে একটি ফ্যাক্টর ছিল। কিন্তু ওই দুটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আত্তিক আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্যারিস সম্মেলন নিয়ে নানা আশা-নিরাশার দোলাচল থাকলেও শেষ পর্যন্ত একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা চুক্তি হওয়ায় সবাই খুশি। প্যারিস চুক্তিকে ভারসাম্যমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো একটি বিশেষ দেশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য এই সম্মেলন ছিল না। অভিযোজনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু তহবিল থেকে ঋণের পরিবর্তে অনুদান দেওয়ার বিষয়টি চুক্তিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর