শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

৩০ লাখ শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

যুক্তরাস্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদন

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশে ৩০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন! যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, রানা প্লাজা ধসে ১১০০-এর বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া হয়, তার চার ভাগের তিন ভাগ কারখানাই সেই কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই ছোট কারখানা এবং এগুলো বড় বা নামিদামি কারখানার জন্য কাজ করে থাকে। তবে গার্মেন্ট মালিকরা এমন বক্তব্য নাকচ করে বলেছেন, রপ্তানিকারক সব কারখানাই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা।

বাংলাদেশ সরকার বলেছে, ছোট কারখানাগুলোকেও নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্র্যান সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে। সেই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাত হাজারের বেশি গার্মেন্ট কারখানা রয়েছে।

এগুলোর একটা বড় অংশের কোনো নিবন্ধন নেই। এই ছোট কারখানাগুলো বড় বা নামিদামি কারখানার জন্য সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকে। কিন্তু এই ছোট কারখানাগুলোর নিরাপত্তার বিষয় নজরদারির আওতায় নেই। ঢাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেছেন, সরকার এবং মালিকপক্ষ কেউই ছোট কারখানাগুলোর নিরাপত্তার দিকে নজর দেয় না।

রানা প্লাজা ধসে গার্মেন্ট শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পর কারখানাগুলোর শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে আসে।

সেই প্রেক্ষাপটে ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স নামের দুটি ফোরাম গঠন করে বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, গার্মেন্ট কারখানার চার ভাগের মাত্র এক ভাগ কারখানাকে সেই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ কারখানায় ৩০ লাখের মতো শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ফোরাম অ্যালায়েন্সের মেজবাহ রবিন বলেন, সরকারি হিসাব এবং বিজিএমইএর তালিকা অনুযায়ী সাড়ে তিন হাজার কারখানা এখন চালু আছে। অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স এবং আইএলও-এর সহায়তায় সরকারের ন্যাশনাল কর্মসূচির অধীনে এই তিন ভাগে তালিকাভুক্ত ১০০ ভাগ কারখানাকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।

বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বড় কারখানাগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার কাছে সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ দেয় না। তারা দেশের ভিতরে চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করে।

সর্বশেষ খবর