রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পে-স্কেল নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে

আন্দোলনের ঘোষণা

আকতারুজ্জামান

বেতন-স্কেল থেকে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল, সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে যোগদানে ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টি, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকার সংরক্ষণ না হওয়ায় শিক্ষকসহ বিভিন্ন স্তরে বিক্ষুব্ধ অবস্থা তৈরি হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিত্সক; বিসিএস ক্যাডার, আইডিবির নেতারা এর প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন। প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিত্সক ক্যাডারদের সংগঠন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি আজ থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনে নামছে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ লক্ষ্যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী আজ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রকৃচি-বিসিএস কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। আগামী বুধবার তারা সারা দেশে মানববন্ধন ও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন। এ ছাড়া ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কর্মকর্তাদের এসব দাবি মানা না হলে এরপর টানা কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।  সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, এ বেতন স্কেলে তাদের অবনমন করা হয়েছে। নতুন বেতন স্কেলে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্বার্থ সংরক্ষিত না হওয়ার প্রতিবাদে শিগগির তারাও আন্দোলনে নামছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, শিক্ষামন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দেওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি পূরণে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ জরুরি সভা ডেকেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের বৈঠক ডেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব আ কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে এ বেতন স্কেলের মাধ্যমে। শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১৫ হাজার কর্মকর্তা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তাই আগামী মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। এদিকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম তোতা জানিয়েছেন, শিগগিরই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিকে এমপিও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।

সর্বশেষ খবর