সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্যাংকের উচ্চ সুদ নিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

এফবিসিসিআইর এজিএমে হৈচৈ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এফবিসিসিআইর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণে আরোপিত উচ্চ সুদ হার এবং এফবিসিসিআইর সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। তারা বলেছেন, বড় বড় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে সুবিধা পেলেও ছোটরা পাচ্ছেন না। এ ছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি বৃদ্ধি, ভ্যাটের অত্যাচার নিয়ে এফবিসিসিআইর চলমান ভূমিকা নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে  ব্যবসায়ীদের  এই ক্ষোভ প্রকাশের বিষয়টি অস্বীকার করে এফবিসিসিআই নেতারা একে হৈচৈ  হিসেবে  আখ্যা  দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সভাপতিত্বে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। এতে এফবিসিসিআই  প্রথম সহসভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালক এবং এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এজিএমে সুদ হার কমানো নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই পরিচালক তবারুকুল তোসাদ্দেক হোসাইন খান টিটু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হালকা পাতলা হৈচৈ হয়েছে। এটা সব সংগঠনেই হয়। তবে আমরা চেষ্টা করেছি ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে। এফবিসিসিআইর আরেক পরিচালক আবু নাসের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সুদ হার নিয়ে কিছুটা হৈচৈ হয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি না হওয়া নিয়েও ক্ষোভ আছে ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, এফবিসিসিআই সংস্কার করে আগামীতে সরাসরি নির্বাচন হোক। এদিকে এফবিসিসিআইর এজিএম শেষে সংগঠনটির মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং অডিট রিপোর্ট সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। এজিএমে সাধারণ পরিষদ সদস্যরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাধ্যতামূলক সদস্য পদ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এফবিসিসিআইর অধিভুক্ত বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ছাড়াও সদস্যরা শিল্পায়নের  লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিদ্যুত্ ও গ্যাস সরবরাহ, অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার করার জন্য এফবিসিসিআইর মাধ্যমে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়াও এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের সংস্কার, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়ে সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। এ জন্য বেসরকারি খাতের স্বার্থে এফবিসিসিআই, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে কার্যক্রম গ্রহণ করছেন। তিনি বলেন, রাজস্ব ও ভ্যাটে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ দূরীকরণের জন্য কাজ করা হচ্ছে। ফলে রাজস্বসংক্রান্ত জটিলতা বা হয়রানি দূর করা সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশনের জন্য উচ্চহারে ট্রেড লাইসেন্স ফি বর্ধিত করে ঘোষিত ‘আদর্শ কর তফসিল ২০১৪’ পুনর্বিবেচনা করে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হারে ট্রেড লাইসেন্স ফি পুনর্নির্ধারণের জন্য এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর