মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বরিশালে টেন্ডার নিয়ে মুখোমুখি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

নরসিংদীতে শিডিউল লুট

প্রতিদিন ডেস্ক

নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগি ও পেঅর্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের সোয়া ৭ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

নরসিংদী প্রতিনিধি জানান, নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ওষুধসহ দুই কোটি টাকার বিভিন্ন মালামাল সরবরাহের টেন্ডার ভাগাভাগি নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্টরা ছয়টি দরপত্র ও পেঅর্ডার লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল সকাল ১০টায় নরসিংদী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে পেয়ারা এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহ আজিজুল হক নরসিংদী মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এতে পুলিশ কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন পুতুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল জানান, বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মুখোমুখি অবস্থা বিরাজ করছে। আজ টেন্ডারের সিডিউল বিক্রির শেষ দিন। আগামীকাল জমা নেওয়া হবে বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার ১২টি স্কুল-মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের কাজের টেন্ডার সিডিউল। আগ থেকেই গুছ টেন্ডারের উদ্যোগ নেয় মহানগর ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। তারা অফিসে পাহারা বসানোয় সাধারণ ঠিকাদাররা সিডিউল কিনতে পারেননি। ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের পাহারা ভেদ করে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক অনুসারীরা সিডিউল কিনতে গেলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাকসুর সাবেক ভিপি জসিমউদ্দিন এবং বরিশাল কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি ফরহাদ বিন-আলম জাকির দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালায়। তবে শেষ পর্যন্ত সমঝোতা হয়নি বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, মহানগর ছাত্রলীগের একটি পক্ষ উপর মহলের নাম ভাঙিয়ে ৭ কোটি টাকার টেন্ডার গুছ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর