মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ফিরে দেখা -২০১৫ রংপুর

জাপানি ও খাদেম হত্যা নিয়ে তোলপাড়

বোমা হামলার ঘটনা ঘটে দুটি মন্দিরে। ১১ জন পাদ্রিকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

২০১৫ সালের নয় মাস রংপুর বিভাগের বাসিন্দাদের ভালো কেটেছে। তবে বছরটির শেষ তিন মাস সুখকর ছিল না। নয় মাসে খুন-খারাবিসহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রতি বছরই ঘটে। কিন্তু পরের তিন মাস রংপুর বিভাগকে আলোচনার শীর্ষে নিয়ে এসেছে জাপানের নাগরিক হোশি কোনিও, মাজার শরিফের খাদেম রহমত আলী ও সাংবাদিক উৎস রহমান খুনের ঘটনা। একই সময়ে এক বিদেশি চিকিৎসক ও বাহাই সম্প্রদায়ের এক নেতাকে গুলি করে এবং শিয়া মসজিদের এক খাদেমকে নামাজরত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বোমা হামলার ঘটনা ঘটে দুটি মন্দিরে। ১১ জন পাদ্রিকে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনাও দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। এসব ঘটনায় যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী রংপুর বিভাগ এখন জেএমবির নাশকতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর ও দিনাজপুরকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায় হত্যা ও নাশকতার নয়টি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৩ অক্টোবর সকালে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় জাপানি হোশি কোনিওকে গুলি করে এবং ১০ নভেম্বর রাতে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ৮ নভেম্বর সকালে রংপুর নগরীর আর কে রোডে বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের পিএস রুহুল আমীনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ২৫ নভেম্বর ডাকযোগে চিঠি দিয়ে রংপুর আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের ফাদার রেভারেন্ড বার্নাবাস হেমরমসহ ১০ জন ফাদারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০ ডিসেম্বর দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ইসকন মন্দিরে এবং ৪ ডিসেম্বর কান্তজিউর মন্দিরে রাসমেলায় পৃথক বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ১৮ নভেম্বর সকালে দিনাজপুর শহরে ইতালির নাগরিক ধর্মযাজক ডা. পিয়ারো পারোলারিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর