মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

দুই মন্ত্রীর বক্তব্যে ধোঁয়াশায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

নতুন কর্মসূচির আলটিমেটাম

আকতারুজ্জামান

প্রায় আট মাস ধরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও ঘোষিত জাতীয় পে-স্কেলে তাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং এ দাবি নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর বিপরীতমুখী বক্তব্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এর শিকার হচ্ছেন শিক্ষকরা। এদিকে আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষকদের ‘মর্যাদা রক্ষার’ দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, তাদের দাবিগুলো আদৌ পূরণ হবে কিনা— এটি সরকারের পক্ষ থেকে এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। এ অবস্থায় সরকারি মহল থেকে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করছে। প্রসঙ্গত, গত ৬ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সপ্তম গ্রেডের মতো সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অষ্টম বেতন কাঠামোতে সিনিয়র সচিবদের জন্য যে সুপার গ্রেড সৃষ্টি করা হয়েছে, এই গ্রেডে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করার বিধান থাকবে। শিক্ষক নেতারা বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর এসব আশ্বাসের কোনোটির প্রতিফলন ঘটেনি। জানা গেছে, বেতন স্কেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর সম্প্রতি দেওয়া আরও এক বক্তব্য শিক্ষকদের আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ‘আন্দোলন করে শিক্ষকদের দাবি আদায় হবে না’ বলে সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী। এমন বক্তব্যের পর গত রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক নেতারা দাবি আদায় না হলে সব বিশ্ববিদ্যালয় ‘কমপ্লিট সাটডাউন’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি মর্যাদা রক্ষার দাবি। মর্যাদা রক্ষা ও সিলেকশন গ্রেড বহালের দাবি এ মাসের মধ্যে পূরণ না হলে ২ জানুয়ারি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা অর্থমন্ত্রীর কাছে সুস্পষ্ট আশ্বাস পেয়েছিলাম। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা প্রতারিত হয়েছি। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে  ঠেকে গেছে। কঠোর আন্দোলন ছাড়া উপায় নেই। তবে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচির পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষকদের দাবি আদায়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তাদের দাবি আদায়ে শিগগিরই বেতন বৈষম্য কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতারণা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর