সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বধ্যভূমি ভরাট করে সাইলো নির্মাণে মন্ত্রীর প্রস্তাব নাকচ

আন্দোলনের হুমকি মুক্তিযোদ্ধাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এমপির উপস্থিতিতেও নগরীর বধ্যভূমি এলাকায় সাইলো (আধুনিক গোডাউন) নির্মাণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার নিরসন হয়নি। এ নিয়ে গতকাল দুপুরে বধ্যভূমি এলাকায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর দেওয়া বিকল্প প্রস্তাবেও সাড়া দেননি আন্দোলনকারীরা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিবিজড়িত জলাশয় ভরাট করে সেখানে সাইলো নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোরতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের দাবি, ত্রিশ গোডাউনের বেশির ভাগ (২৮টির মধ্যে ২৪টি) পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অযোগ্য। পরিত্যক্ত গোডাউনগুলো ভেঙে সেখানে সাইলো নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারীদের কঠোর অবস্থানের কারণে সাইলো নির্মাণকাজ এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী বধ্যভূমি সংলগ্ন জলাশয় ভরাট করে সাইলো নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১১ সালে। ৫০ হাজার টন চাল বা গম ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রস্তাবিত এই সাইলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে কোনো ধরনের প্রক্রিয়াজাত কিংবা কেমিক্যাল ছাড়াই খাদ্য পণ্য তিন বছর সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা যাবে আপদকালীন সময়ের জন্য। কাজ শুরুর একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বিশাল জলাশয় ভরাট শুরু করলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই দাবিতে বধ্যভূমি এলাকায় বিশাল মানববন্ধনও করে তারা। কিন্তু তারপর সাইলো নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে বধ্যভূমি সংলগ্ন জলাশয় ভরাটের কাজ অব্যাহত থাকে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে নৌ-মন্ত্রীর বরিশাল সফরকালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিষয়টি তাকে অবহিত করেন এবং প্রতিকার চান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর