শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা

সংযোগ না পেয়ে হতাশ এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা

রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে আগ্রহীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারদলীয় কর্মীরা। তাদের জিম্মি করে ৬৫০ টাকার পরিবর্তে কয়েকগুণ বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বাঘা উপজেলার ভানুকর গ্রামবাসী জানান, এই গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এরই মধ্যে ওই গ্রামের লোকজনের মনে আলো জেগে উঠে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে। দ্রুত ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপরই স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা বাণিজ্যে নেমে পড়ে। এরই মধ্যে সহজ-সরল গ্রামবাসীকে জিম্মি করে ওয়ারিংয়ের মালামাল ও মিস্ত্রি খরচ বাবদ আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল আদায় করে চলছে পরিবার প্রতি ২ হাজার ২০০ টাকা করে। তার সঙ্গে যোগ দেন আরেক আওয়ামী লীগ কর্মী জারমান আলী। ওই গ্রামের দুলাল, ছায়তুল্লাহ, শহিদুল, জহুরুল, রবিউল, কাউছার, আমেদ, লুত্ফর, মিনা বেগম, সাজ্জাক, লিলি, জালাল, জিয়াউর  রহমান  জানান,  বিদ্যুৎ  দেওয়ার নাম করে জারমান আলী ও সাইফুল তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা করে আদায় করেছেন। টাকা দেওয়ার  পরও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি তারা। টাকা ফেরতের দাবিতে জারমান আলীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ওই এলাকার ১৯ জন।

জারমান আলী গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা  আদায়ের কথা  স্বীকার  করে বলেন, ‘আমি ১৯ জনের সবার কাছ থেকে এত টাকা করে আদায় করিনি। কয়েকজনের কাছ থেকে নিয়েছি। আর টাকাগুলো দিয়েছি সাইফুলকে।’

এ ব্যাপারে নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বাঘা সাব জোনের এজিএম খোরশেদ আলম জানান, মাস্টার প্ল্যানে গ্রাহক হতে সদস্য ফি ৫০ টাকা এবং জামানত বাবদ ৬০০ টাকা সর্বমোট ৬৫০ টাকা করে লাগবে। আর এর বাইরে কেউ বেশি নিলে তা হবে অবৈধ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর