শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রাথমিক সমাপনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে অভিভাবকরা

১২ কেজি বই বহনে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা

আকতারুজ্জামান

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিল দাবিতে অভিভাবকরা আন্দোলনে নামছেন। তারা এ লক্ষ্যে আজ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি গণসংযোগ করে সর্বস্তরের মানুষকে এর সঙ্গে একাত্ম করবেন। এরপর তারা বড় পরিসরে আন্দোলনের ডাক দেবেন।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অভিভাবকরা এরই মধ্যে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা হাইস্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছেন। এ ব্যাপারে রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. শরাফত আলী বলেন, ১০ বছর না পেরোতেই প্রায় ১২ কেজি বই বহন করতে হচ্ছে শিশুদের। এ বোঝা বহন করতে গিয়ে তাদের শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জিপিএ-৫-এর মুলা ঝুলিয়ে স্কুলগুলো বাচ্চাদের ওপর বাড়তি পড়ার চাপ প্রয়োগ করছে। বইয়ের বোঝা আর পড়ার চাপে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে শিশুরা। তাই স্কুল আর পড়াশোনা দিন দিন আতঙ্কের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। জানা গেছে, শুধু শরাফত আলীই নন, এ অভিযোগ দেশের প্রায় প্রত্যেক অভিভাবকের। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর নামে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েক বছর ধরে একটি পরীক্ষার আয়োজন বিষিয়ে তুলেছে অভিভাবকদের। যদিও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দফায় দফায় বলেছেন, এটি পাবলিক কোনো পরীক্ষা বা সার্টিফিকেট পরীক্ষা নয়। তাই শিশুদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য স্কুলগুলোয় শিক্ষকরা বাচ্চাদের ওপর বাড়তি পড়াশোনার চাপ প্রয়োগ করেই যাচ্ছেন। এ শিশুদের ওপর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নির্ধারিত বইয়ের বাইরেও অতিরিক্ত ৪ থেকে ৮টি বই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুুব্ধ অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষামন্ত্রী যেহেতু বলেছেন এটি পাবলিক বা সার্টিফিকেট পরীক্ষা নয়, এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে, সেহেতু এ বছর থেকেই তারা এ পরীক্ষা বাতিল চান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর