বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মূল সমস্যা রিফুয়েলিং

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মূল সমস্যা রিফুয়েলিং

প্রায় ১৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকে রূপান্তরিত হয়। ওই সময় চালু হয় সিলেট-দুবাই এবং সিলেট-লন্ডন রুটে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তবে রিফুয়েলিং স্টেশন না থাকায় কয়েক দিনের মধ্যেই ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। সিলেটের সচেতন মানুষের আন্দোলনে ওসমানীতে রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছরের মার্চে এ রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণকাজ শেষ হলেও অদ্যাবধি চালু হয়নি। এই রিফুয়েলিং স্টেশনেই আটকে আছে ওসমানীতে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর বিষয়টি। জানা যায়, ওসমানী বিমানবন্দর ‘আন্তর্জাতিক’ হওয়ার পর সিলেট-দুবাই এবং সিলেট-লন্ডন রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়। কিন্তু রিফুয়েলিং স্টেশন না থাকায় কিছু দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এতে বিপাকে পড়তে হয় বৃহত্তর সিলেটের লাখ লাখ প্রবাসীকে। সিলেটের ৪ জেলার কয়েক লাখ লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছেন। শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই রয়েছেন প্রায় ২০ লাখ লোক। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে ৫ লাখের বেশি। অন্যান্য দেশ মিলিয়ে আছেন প্রায় ৪০ লাখ সিলেটি প্রবাসী। ওসমানী থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন এই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী। বাধাগ্রস্ত হয় এ অঞ্চলের রপ্তানি বাণিজ্যও। এমতাবস্থায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবিতে সিলেটে আন্দোলন গড়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ওসমানীতে রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের দায়িত্ব পায় পদ্মা অয়েল কোম্পানি। প্রায় ৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানের ‘কনস্ট্রাকশন অ্যাভিয়েশন রিফুয়েলিং ফ্যাসিলিটিজ’ নামে ২০১২ সালে শুরু হয় স্টেশন নির্মাণের কাজ। ওসমানী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে এবং দক্ষিণ সুরমাস্থ পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার পদ্মা অয়েল ডিপোতে চলে প্রকল্পের নির্মাণকাজ। পদ্মা অয়েল ডিপোতে তৈরি করা হয়েছে রিফুয়েলিং স্টেশনের রিজার্ভ স্টেশন। রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর