রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বর্জ্যে বিপন্ন জলাশয় ফসলি জমি

আন্দোলনে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী সিলেটবাসী

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) গার্বেজ ইয়ার্ড (ময়লা ফেলার ভাগাড়) এখন স্থানীয় লোকজনের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে জলাশয় ভরাট করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকে নির্মাণ করা হয়েছিল এ গার্বেজ ইয়ার্ডটি। ১২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ভাগাড়ের ময়লা আবর্জনায় বিপন্ন পার্শ্ববর্তী জলাশয়ের মাছ ও প্রায় ২০০ একর ফসলি জমি। পরিবেশ দূষণে বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ছে আশপাশের জনবসতি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন এবং পরিবেশ দূষণরোধে স্থানীয়রা সিসিকে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। এই অবস্থায় এবার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিসিক সূত্রে জানা যায়- প্রায় ২০ বছর আগে শহরতলির পারাইরচকে ভাড়েরা বিলের ১২ একর জায়গায় ভাগাড় নির্মাণ করা হয়। ২০ বছর ধরে উন্মুক্ত ওই স্থানে প্রতিদিন নগরীর প্রায় ২০০ টন বর্জ্য ওই ভাগাড়ে ফেলা হয়। ভাগাড়ের পূর্ব দিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় ফেলা বর্জ্যে পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। বর্জ্যের ক্ষতিকারক প্রভাবে ভাড়েরা বিল মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। আশপাশের জমিতে চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছে না। ময়লা ও দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় ভাগাড়ের নিকটবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামে বসবাস কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ওই এলাকার পরিবেশ রক্ষার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। সর্বশেষ গত ৯ ফেব্রুয়ারি কৃষি জমি ও বিল রক্ষার দাবিতে পরিবেশ অধিদফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন ‘বিল-হাওর, কৃষি পরিবেশ রক্ষা কমিটি’র নেতারা। স্থানীয় লোকজনের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটির নেতারা জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মানববন্ধন দিয়ে তাদের কর্মসূচি শুরু হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাবেন।

এ ব্যাপারে ‘বিল-হাওর, কৃষি পরিবেশ রক্ষা কমিটি’র সদস্যসচিব শামীম কবীর জানান- সিটি করপোরেশনের ভাগাড়ের ময়লায় বর্ষায় ভাড়েরা বিলের পানি কালো ও বিষাক্ত হয়ে যায়। ফলে বিলটি মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। শীত মৌসুমে বিলে পানি না থাকলেও মাটি বিষাক্ত হয়ে যাওয়ায় ওই বিল ও পার্শ্ববর্তী জমিতে কোনো ধরনের ফসল হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান- ভাগাড়ের আশপাশের বেশিরভাগ জমিই সরকারি।

সর্বশেষ খবর