শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরের অন্যতম আকর্ষণ যে দ্বীপটি

রাহাত খান, বরিশাল

ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরের অন্যতম আকর্ষণ যে দ্বীপটি

বরিশাল শহর থেকে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি সড়কের ১১তম কিলোমিটার অংশে চারটি ৯০ ডিগ্রি আকারের বাঁক। প্রথম বাঁকের বাম দিক পর্যন্ত চারদিকে দেয়ালঘেরা গাছপালায় সবুজের সমাহার। শেষ বাঁকে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত তোরণ লাগোয়া কাউন্টার থেকে ১০ টাকা দর্শনী দিয়ে যে কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবে। যারা আগে দেখেছেন, তারা মাঝেমধ্যেই সময় পেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে বেড়াতে যান। আর যদি প্রথমবার কোনো পর্যটক-দর্শনার্থী চার মূল ফটক থেকে ভিতরে ঢোকেন, তাহলে তার চোখ বিস্ময়ে ভরে উঠবে। বিশাল এক দিঘির মাঝখানে ছোট্ট একটি দ্বীপ। দ্বীপটিও গাছপালায় ভরপুর। দিঘিতে নামার সিঁড়িটিও যেন শৈল্পিক। সিঁড়ি থেকে দিঘির মধ্যে কৃত্রিম দ্বীপে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রায় সাড়ে ৪৫ একর আয়তনের বিশাল দিঘির পানি খুবই স্বচ্ছ। দিঘির চারপাশে হাঁটার জন্য ডবল লেন রাস্তা, মাঝে মাঝে দর্শনার্থীর জন্য বসার পাকা বেঞ্চ। বরিশালসহ এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম এ দিঘির চারপাশ প্রায় ১৫ প্রজাতির গাছগাছালি আকৃষ্ট করে দর্শনার্থীদের। গাছগাছালির কারণে পুরো দিঘি এলাকা হয়ে উঠেছে পাখির অভয়ারণ্য। বিভিন্ন ধরনের পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর কলকাকলিতে পর্যটক-দর্শনার্থীর মন ভরে উঠবে। এ দিঘির অন্যতম আকর্ষণ ছিল শীত মৌসুমের অতিথি পাখি। সুদূর সাইপ্রাস ও কানাডা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি শীতের সময় বেড়াতে আসে এখানে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর