শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মামলা জালে সরকারের গচ্চা ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মামলা জালে সরকারের গচ্চা ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অধীনে থাকা ১১৭টি বালুমহালের মধ্যে মামলার জালে আটকা আছে ৮টি। ২০০৫-০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এসব মহালের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় ইজারা হয়নি। ফলে সরকারের ৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা গচ্চা গেছে। একটি সিন্ডিকেট নানাভাবে মামলা করায় বালুমহালগুলোও ইজারা দেওয়া যায়নি।  

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়ার সড়াইয়া বালুমহাল ১ ও ২ এর ওপর ২০০৫ সালে হওয়া মামলার (৩১৯৭/০৫) পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। প্রতি বছর এটির সরকারি ইজারা মূল্য ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। একই উপজেলার পুটিবিলা-১ বালুমহালের ওপর ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া মামলায় (৩৩৩১/১৩) ইজারা আটকা আছে। এটির ইজারা মূল্য ২৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। সাতকানিয়া ডলু বালুমহাল-২ এর ওপর ২০১২ সালে দায়ের হওয়া মামলায় (২৯২৭/১২) ইজারা হয়নি। এটির ইজারা মূল্য ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতি-১ ওপর ২০১০ সালে দায়ের হওয়া মামলায় (১৭১৯/১০) আটকা আছে ইজারা। এর ইজারা মূল্য ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ইছামতি-২ এর ওপর ২০০৭ সালে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় (৯১৪৩/০৭) আটকে আছে। এটির ইজারা মূল্য ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

 ইছামতি-৩ এর ওপর ২০০৭ সালে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় (৯১৪৩/০৭) ইজারা আটকে আছে। এটির ইজারা মূল্য ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। চন্দনাইশের শঙ্খনদ বালুমহালের ওপর ২০০৮ সালে দায়ের হওয়া মামলা (২২/০৮) চলমান আছে। এটির ইজারা মূল্য ৩ লাখ টাকা। তা ছাড়া ২০০৬ সালে হাটহাজারীর রুহুল্লাপুর বালুমহাল নিয়ে প্রশাসনে কোনো তথ্য নেই। এর ইজারা মূল্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘একটি চক্র কৌশলে কিছু বালুমহাল নিয়ে মামলা করেছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এসব মহাল ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না। এর মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর একটি বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আগামীতে এসব বিষয় নিয়ে নতুন করে একটি উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন জেলা প্রশাসক। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’ অভিযোগে জানা গেছে, ১৪ উপজেলার প্রতিটিতে একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। যারা কৌশল করে বালুমহাল নিয়ে আদালতে মামলা করে। পরে আদালত এটির ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ফলে বন্ধ থাকে ইজারা প্রদান। কিন্তু এরই ফাঁকে চিহ্নিত এসব সিন্ডিকেট প্রশাসনকে পাশ কাটিয়ে কখনো রাতে, কখনো দিনদুপুরে বালু উত্তোলন করে থাকে। সিন্ডিকেটের ‘দাপট ও কূটকৌশলের’ কাছে পরাস্ত হচ্ছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর