শিরোনাম
শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাসাবাড়িতে আর গ্যাস নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাসাবাড়িতে আর গ্যাস নয়

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্যাসের যে মার্কেট সারা বিশ্বে এতে আমরা নিশ্চিত আগামী ৫০ বছরে গ্যাস প্রাপ্তিতে কোনো অসুবিধা হবে না। সবাই নির্বিঘ্নে গ্যাস সংযোগ পাবে। কিন্তু গৃহস্থালি জ্বালানির জন্য দেশে আর কেউ কোনোদিন গ্যাস সংযোগ পাবে না। কারণ যে কাজে গ্যাস ব্যবহার করলে জাতির উন্নয়ন হবে, উত্পাদন প্রক্রিয়ার সহায়তা পাবে সেক্ষেত্রে গ্যাস সবাই নির্বিবাধে পাবে। দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ন্যাচারাল গ্যাস আমাদের দেশে আসতে শুরু করবে। আমাদের এলএনজি পাম্পটা হয়ে গেলেই আমরা নির্বিঘ্নে গ্যাস সরবরাহ করতে পারব। কিন্তু গৃহস্থালি জ্বালানির জন্য দেশে আর কেউ কোনোদিন গ্যাস সংযোগ পাবে না। তিনি বলেন, আমরা দুটি বড় প্রকল্পের কথা চিন্তা করছি। একটি যমুনা থেকে শুরু করে পদ্মা পর্যন্ত চার লেন হাইওয়ে। এটি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প। আরেকটি হচ্ছে যমুনা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রকল্প। এই প্রকল্পগুলো নিয়ে আমরা একটি স্বতন্ত্র বাজেট পেশ করব। এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল জাতীয় সংসদে বলেছেন, আমাদের টার্গেট শেষ অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেব। আগামী অর্থবছরেই বাজেট উপস্থাপন বেশ বদলে যাবে। কারণ আমাদের টার্গেট এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট ২০১৮ বা ২০১৯ সালে নতুন যে স্ট্রাকচার অব গভর্নমেন্ট হবে— সে সময় আমরা এটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করব। এটা নিয়ে নির্বাচন হবে পরবর্তী বছরে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ স্বাধীনের সময় আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। এখন সে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তবে কিছু লোক আছে সর্বদাই রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকেন। এ হার ১০ থেকে ১৪ শতাংশ। এরা হলেন প্রবীণসহ অসহায় কিছু লোক। এরা সব সময়ই রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকবেন। আমরা আস্তে আস্তে এমন অবস্থায় চলে যাচ্ছি যে, একসময় এরাই শুধু রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকবেন।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর ৫৬ সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান তদারকি করেছে : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল জাতীয় সংসদে বলেছেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ পর্যন্ত দেশব্যাপী ৫৬ হাজার ৮২০টিরও অধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তদারকি করেছে। তিনি জানান, ভোক্তার স্বার্থ ও অধিকার নিশ্চিত করতে দেশে ৫টি আইন বিদ্যমান রয়েছে। ভোক্তা স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ লঙ্ঘন করায় ১৫ হাজার ৫৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের কাছ থেকে ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এমপিদের সম্মানী ভাতা বিল চূড়ান্ত হয়নি : এমপিদের সম্মানী ভাতা বিল চূড়ান্ত করতে পারেনি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদে উত্থাপিত বিলে এমপিদের সম্মানীর হার, চিকিত্সা ভাতা নিয়ে আপত্তি উঠায় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিতে বিলটি পর্যালোচনার সুপারিশ করে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর