খুলনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় আট হাজার শিক্ষক দুই বছর আগে ঘোষিত বর্ধিত বেতন (ফিক্সেশন) এখনো পাননি। আর এই কারণে ২০১৫ সালে ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় বেতন পুনর্নির্ধারণও আটকে আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষকদের বেতন পুনর্নির্ধারণ হয়নি বলে জানা গেছে। এতে শিক্ষকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। জানা যায়, খুলনা জেলায় এক হাজার ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। ২০১৪ সালের মার্চে সারা দেশে সরকারি কর্মচারীদের বেতন উচ্চতর স্কেলে উন্নীত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষকদের বেতন পুনর্নির্ধারণ এখনো সম্ভব হয়নি। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের বেতনের সঙ্গে বর্ধিত বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তাও এখনো দেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়া ২০১৪ সালে ঘোষিত বেতন পুনর্নির্ধারণ (ফিক্সেশন) করা হলে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হবে। আবার ২০১৪ সালের ফিক্সেশন সম্পন্ন না করে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করলে এই জটিলতা আরও বাড়বে। একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ ঘোষণার পরপরই জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের ফিক্সেশন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের ফিক্সেশন আটকে রাখা হয়েছে। ফিক্সেশন ঘিরে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মচারী ও একাধিক শিক্ষক নেতা নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে উেকাচ আদায় করছেন। যারা দাবিমতো উেকাচ দিচ্ছেন তাদের নতুন বেতন স্কেলে উন্নীত করা হয়েছে। যারা দিচ্ছেন না তারা শিক্ষা অফিসে ঘুরপাক খাচ্ছেন।
আলাপকালে খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন জাহান বলেন, ফিক্সেশনের কাজটি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তারা কিছু কাজ করেছে। কিন্তু হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের (এজি অফিস) নানা আপত্তিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি।