বাংলাদেশ থেকে গত এক বছরে একশোরও বেশি নারী সিরিয়ায় পাচার হয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে পাচার হওয়া নারীদের কয়েকজন দেশে ফিরে এসে নানা ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযানে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। খবর বিবিসি বাংলার

সিরিয়ার মতো জায়গায় যেখানে যুদ্ধ চলছে সেখানে কিছু নারী পাচার হয়ে গেছেন সেটি প্রথম নজরে আসতে শুরু করে কিছুদিন আগে যখন কয়েকজন নারী পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তারা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন যারা তাদের নিয়ে গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। তখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে র‌্যাব ৪৫ জনের নাম জানতে পারে। এখন র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, পাচার হয়তো খানিকটা কমেছে তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে পাচার হচ্ছে নারী?

র‌্যাবের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, অন্তত তিনজন নারী দেশে ফিরে এসে নানা ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ পাওয়ার পর র‌্যাব বাংলাদেশে যে তদন্ত করছে তাতে জানা গেছে যে এসব নারীরা আসলে কাজের জন্য জর্ডান এবং লেবাননে যাচ্ছিলেন। তাদের কাগজপত্র বৈধই ছিল। কিন্তু দুবাইতে কানেকটিং ফ্লাইটে ওঠার আগে প্লেনের টিকিটে তাদের গন্তব্য বদলে দেয় পাচারকারীরা। এসব নারী বুঝতেও পারেননি যে তারা সিরিয়াতে গিয়ে নামবেন। এই চক্রের মধ্যে বাংলাদেশের একজন এবং জর্ডানে বসবাসরত এক বাংলাদেশি জড়িত ছিল বলে কর্মকর্তারা বলছেন। দুবাই বিমানবন্দরে টিকিট বদলানোর কাজ করার জন্য তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ঢাকায় বৈধ কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির সহযোগিতাও তারা নিয়েছে। দেশে ফেরত আনা কঠিন এসব নারীকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর। সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা খুব বেশি এগোতে পারেননি কারণ সিরিয়াতে ব্যাপক যুদ্ধের জন্য তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া কঠিন।