ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রেহাই চেয়েছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ির আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনের পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক কর্মশালা থেকে এ দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) আয়োজিত ‘মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট বিষয়ক কর্মশালা’য় পুরাতন গাড়ি আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, তাদের শো রুমে গিয়ে ক্রেতাদের সামনে ভ্যাট আদায়কারী কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছেন। আবার গাড়ি আমদানির সময় সংশ্লিষ্ট শুল্ক বন্দরে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে শুল্কায়ন মূল্য অনেক বেশি ধরা হচ্ছে। কিন্তু অবচয়ন হচ্ছে অনেক বেশি। এ সঙ্কট উত্তোরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। বারভিডা সভাপতি আব্দুল হামিদ শরীফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এনবিআর সদস্য ভ্যাটনীতি ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা উত্তর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মাসুদ সাদিক, বারভিডা উপদেষ্টা আব্দুল হক, মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর, সদস্য শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় বারভিডা মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর বলেন, ক্রেতাদের সামনে আমাদের শো রুমে বসে ভ্যাট কর্মকর্তারা আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন। আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি চাই। সত্ভাবে ব্যবসা করতে চাই। তাই দয়া করে আমাদের হয়রানিমূলক পরিবেশ থেকে রেহাই দিন।
অভিযোগের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি ও হয়রানির বিরুদ্ধের আমাদের অবস্থান জিরো-টলারেন্স। এ নিয়ে বারভিডা লিখিতপত্র জমা দেওয়ার পর এনবিআর করণীয় নির্ধারণ করবে।
বারভিডা সভাপতি আব্দুল হামিদ শরীফ বলেন, আমরা আর উেস ভ্যাট দিতে চাই না। এটা যেন আর না নেওয়া হয়। ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন জবাবে বলেন, উেস ভ্যাট অনেক সময় ফেরতও পাওয়া সম্ভব। কারণ- আপনি বেশি দিলে ফেরত পাবেন, আবার কম দিলে অবশিষ্ট অংশ পরিশোধ করবেন। এখানে কোনো সমস্যা হলে, তা সমাধানে এনবিআর আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে উদ্যোগ নেবে।