শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

কেপিএমের বর্জ্যে কর্ণফুলী দূষণ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কেপিএমের বর্জ্যে কর্ণফুলী দূষণ

কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫৩ সালে। দীর্ঘ এ সময়েও কেপিএম ইটিপি (ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেনি। এ অবস্থায় প্রতিদিন কেপিএম থেকে প্রায় ১০ হাজার মিটার কিউব বর্জ্য পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে।  

কেপিএম সূত্রে জানা যায়, সরকারি এই পেপার মিলে প্রতিদিন গড়ে ১০০ মেট্রিক টন কাগজ উৎপাদন হলে তা থেকে বর্জ্য নির্গত হয় ২০ হাজার মিটার কিউব (২০ হাজার মেট্রিক টন)। কিন্তু বর্তমানে কেমিক্যাল ও কাঁচামাল স্বল্পতায় গড়ে কাগজ উৎপাদন হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন। ফলে দৈনিক বর্জ্য নিঃসরণ হচ্ছে ৮ থেকে ১০ হাজার মিটার কিউব। ইটিপির ব্যবস্থা না থাকায় এসব বর্জ্য সরাসরি ফেলা হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। তবে বর্জ্যের কারণে নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে দূষণের ব্যাপকতা থাকলেও নিচের দিকে তা তুলনামূলক কমে যায় বলে দাবি তাদের।  জানা যায়, ২০১১ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার একটি ইটিপির জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের জমা দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ মিলে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। ফলে অর্থাভাবে প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখেনি। পরে ওই টাকাও ফেরত যায় মন্ত্রণালয়ে। কর্ণফুলী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাব্বেরুল ইসলাম বলেন,  প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই কেপিএম-এ ইটিপির ব্যবস্থা নেই। তাই মিলে কোনো ধরনের ইটিপির দরকার তার একটি প্রস্তাব আমরা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করি মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবে।  পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. মকবুল হোসেন বলেন, ইটিপির ব্যবস্থা না করে ১৯৫৩ সাল থেকে কেপিএম চলছে। এ মিলের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর পানি। ইটিপির ব্যবস্থা করতে কেপিএম কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে একাধিকার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ না হওয়ায় মিলের  বিরুদ্ধে জরিমানাও করা হয়। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ২০১৮ সালের মধ্যে ইটিপির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এ জবাবে আমরা সন্তুষ্ট না বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর