শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

গুলশানে রাস্তা ধস ভবনে ফাটল

যান চলাচল বন্ধ, আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে লেকের পাশের একটি রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ৫৫ নম্বর ওই সড়কটি ধসে পড়লে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আকস্মিক এ ধসের পর রাস্তাসংলগ্ন দুটি ভবন চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। ওই ভবন দুটিতে ফাটল ধরেছে। বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। গুলশান-বারিধারা-বনানী লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক) মনোয়ার হোসেন জানান, লেকের উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাগুলো সঠিকভাবে করা ছিল না বলে রাস্তার নিচ থেকে পানি সরে গিয়ে এ ধসের ঘটনা ঘটে। ভরাটকাজ শুরু হয়েছে। দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ৫৫ নম্বর সড়কের ২৯ ও ৩১ নম্বর বাড়ির সামনের রাস্তার একটি অংশ ধসে পড়েছে। রাস্তা ফেটে নিচ থেকে বালু বেরিয়ে আসছে। রাস্তার পাশের দুটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে ওই দুই বাড়ির বাসিন্দারা।  ২৯ নম্বরের ছয়তলা ভবনের মালিক বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তার ছেলে মারুফ হোসেন বলেন, সকালে বিকট শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু বাড়ির সামনে এসে দেখেন রাস্তার একাংশ ধসে গেছে। ফাটল ধরেছে বাড়ির সামনের অংশে। তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত রাস্তা মেরামত করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ৩১ নম্বরের তিনতলা বাড়ির দারোয়ান হামিম খান বলেন, ফজরের নামাজের পর তিনি লেকের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সাড়ে ৬টার দিকে রাস্তা দেবে যাচ্ছে দেখতে পেয়ে তিনি দৌড় দেন। পরক্ষণেই বিকট শব্দে রাস্তা দেবে যায়। ফাটল ধরে ওই বাড়ির গেটসহ সামনের অংশে। বাড়িটির মালিক প্রকৌশলী মহিউদ্দিন খান। বিকালে দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুলহক। তিনি বলেন, গুলশান-বনানী লেককে ঘিরে উন্নয়নকাজ চলছে। পানি সেচের কারণে পানির প্রেসার কমে গিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কাজের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

জানা গেছে, এক মাস ধরে গুলশান-বনানী লেকের উন্নয়নকাজ করছে রাজউক। এক সপ্তাহ ধরে সেচের কাজ চলছিল। ৩-৪ দিন আগে রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। পরে ২৯ ও ৩১ নম্বর বাড়ির কর্তৃপক্ষ রাজউককে এ বিষয়ে অবহিত করলে তারা সিমেন্ট দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা করে। কিন্তু গতকাল সকালে রাস্তা ধসের পর বাড়ি দুটির সামনে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আতঙ্কে রয়েছে ওই দুই বাড়ির বাসিন্দারা। তারা দ্রুত রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর