বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাসা থেকে ময়লা সরাসরি যাবে ডাম্পিং স্টেশনে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

বাসা থেকে ময়লা সরাসরি যাবে ডাম্পিং স্টেশনে

বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগরের আবর্জনা অপসারণ চিত্র। ডাস্টবিন মুক্ত হবে চট্টগ্রাম। প্রতিটি বাসায় যাবে বিন। বাসা থেকে ময়লা সরাসরি সেবক ও গাড়িতে হয়ে যাবে ডাম্পিং স্টেশনে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) প্রাথমিকভাবে ছয়টি ওয়ার্ডে চালু করবে এ পদ্ধতি। এরপর পর্যায়ক্রমে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে চালু হবে এ প্রক্রিয়া। থাকবে না আর সনাতনী ডাস্টবিন। পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে চসিকের এটি দ্বিতীয় উদ্যোগ। এর আগে রাতের বেলায় আবর্জনা অপসারণ শুরু করে। চসিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় প্রায় ১ হাজার ৩০০ ডাস্টবিন আছে। এসব ডাস্টবিন বসানো হয়েছে রাস্তা, খাল-নালা, ফুটপাথ ও  সড়কের পাশে। এতে যান চলাচলে সমস্যা, পথচারীদের ফুটপাথ ব্যবহারে বিঘ্নতা, আবর্জনা থেকে উত্কট গন্ধ ও অনেক সময় আবর্জনা সড়কে উপচেপড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা নিরসনে চসিক বিনামূল্যে প্রতিটি বাসায় দুটি করে বিন দিবে। একটিতে শুকনো বর্জ্য ও অন্যটিতে পচনশীল বর্জ্য নেওয়া হবে। বাসা থেকে পৃথক হয়ে সেবকের মাধ্যমে ভ্যান গাড়ি, আবর্জনার ট্রাক হয়ে সরাসরি যাবে ডাম্পিং স্টেশনে। প্রাথমিকভাবে নগরীর ছয়টি ওয়ার্ডে চালু হচ্ছে এ পদ্ধতি। ওয়ার্ডগুলো হলো— ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর পাঠানটুলী, ৩১ নম্বর আলকরণ ও ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাস সুমন বলেন, এবার  ডাস্টবিনমুক্ত শহর হবে চট্টগ্রাম। প্রতি বাসা থেকে সেবকরা রিকশা ভ্যানের মাধ্যমে আবর্জনা সংগ্রহ করে গাড়িতে নিয়ে আসবে। গাড়ি আবর্জনা নিয়ে চলে যাবে ডাম্পিং স্টেশনে। তিনি বলেন, আবর্জনা অপসারণের এই নতুন পদ্ধতিতে  শিল্পগ্রুপগুলোর   কাছ থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহায়তা নেওয়া হবে। এরপরও যদি অবশিষ্ট থাকে সে অর্থ চসিক ব্যয় করবে।

প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ইতিমধ্যে জরিপ করে ছয়টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৪ হাজার ঘর ও দোকান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব বাসা থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করতে ভ্যান লাগবে ৩৮৪টি, সেবক লাগবে ৭৬৮ জন। এ কাজে এ ছয় ওয়ার্ডে নতুন করে ৬০০ সেবক নিয়োগ দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর