খুলনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল দুপুরে নগরীর ফুলমার্কেট মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক কনসালটেশন অ্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে। এ সময় চুরির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে নাসিমা বেগম (৩৮) ও তার স্বামী আবদুল মান্নান জমাদ্দারকে (৪২) আটক করা হয়। তাদের বাড়ি রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকায়।
এদিকে নবজাতক চুরির ঘটনায় খুলনা জেনারেল হাসপাতালের দুই সেবিকাকে (নার্স) মারধরের প্রতিবাদে জেলার সব সরকারি হাসপাতালের সেবিকারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর অংশ হিসেবে নার্সেরা গতকাল কালো ব্যাজ ধারণ করেন। আজ ও আগামীকাল দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আঞ্জুমানারা বেগম। মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক কনসালটেশন অ্যান্ড ক্লিনিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে ওই শিশুটিকে নিয়ে নাসিমা বেগম ক্লিনিকে ভর্তি হন। এ সময় তার সিজার হয়েছে বলে পেটে একটি ব্যান্ডেজও দেখান। কিন্তু কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা পরিলক্ষিত না হওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পত্রিকায় শিশু চুরির ঘটনা জানার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জেনারেল হাসপাতালে ফোন করে বিষয়টি জানায়। দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চুরি হওয়া নবজাতকসহ প্রতারক নাসিমা বেগমকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নাসিমা বেগমের দাবি, নগরীর বড়বাজার কাচারিঘাট এলাকার সুমন তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি হতে বলেন।
খুলনা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক সঞ্জয়কুমার দাস জানান, ‘শিশু চুরির সঙ্গে শক্তিশালী প্রতারক চক্র জড়িত। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’শিশুটির বাবা ইদ্রিস শেখ জানান, ‘নবজাতক সন্তানকে হারানোর পর আমরা সবাই হতাশার মধ্যে ছিলাম। তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি। আল্লাহ আমাদের সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন।’