বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

কর আদায় ত্বরান্বিত করতে পরোয়ানার সিদ্ধান্ত

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

কর আদায় ত্বরান্বিত করতে পরোয়ানার সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়ের অন্যতম প্রধান খাত গৃহকর। চলতি অর্থ বছরের (জুলাই থেকে মার্চ) বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৩ শতাংশ গৃহকর আদায় হয়েছে। অনাদায়ী আছে অবশিষ্ট ৭৭ শতাংশ। গৃহকর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায়  নাগরিক সেবা   প্রধান ও উন্নয়ন কাজ  বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে বলে জানা যায়।

চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৭ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫২ টাকা। ২১ মার্চ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ৭৮ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬ টাকা। শতাংশ হিসাবে যা ২৩ দশমিক ২১ ভাগ। চসিকের আটটি সার্কেলের মাধ্যমে এসব কর আদায় করা হয়। বর্তমানে নগরীতে এক লাখ ৫০ হাজার ৭৯২টি হোল্ডিংস আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে হোল্ডিং নম্বর না নিয়ে নাগরিক সেবা ভোগ করছেন এমন স্থাপনাও রয়েছে অসংখ্য। হোল্ডিং চিহ্নিত না করায় প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চসিক।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, কর আদায়ে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কর খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তাছাড়া নগরবাসী নিজেই নিজের গৃহের কর নির্ধারণ করে তা আদায়ের নিয়মটি পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কর আদায়ের হার আগামীতে আরও বাড়বে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা থেকে কর আদায়কারী পর্যন্ত সবার দৃষ্টি বেসরকারি হোল্ডিংয়ের দিকে। নতুন ভবন, দোকান, কলকারখানা বা বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মিত হলে সংশ্লিষ্ট সার্কেলের কর আদায়কারীরা সেখানে গিয়ে হাজির হন। তারাই প্রথমে স্থাপনার মালিককে কর ফাঁকি দেওয়ার কৌশল শিখিয়ে দেন। পর্যায়ক্রমে সে সব স্থাপনা থেকে সুবিধা নেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর