শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাবি এলাকায় গাছ কেটে পুলিশ ভবন!

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শতবর্ষী গাছ কেটে পুলিশ প্রশাসন ২২তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের পেছনে আনোয়ার পাশা ভবনের কাছে গত ২৯ মার্চ রাতের আঁধারে এ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালের দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় রমনা পুলিশ জোনের অধীনে অস্থায়ী বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্প নির্মাণ করতে দেন। কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ শর্ত ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক বিঘা জমি দখল করে রাখে। সম্প্রতি তারা ওইস্থানে ২২তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। সূত্র জানায়, পুলিশ ফাঁড়ির এক বিঘা জমিতে অবস্থিত ষাট বছরের পুরনো মেহগনি, কড়ই, রেন্ডি, গগন শিরিসহ অসংখ্য শতবর্ষী গাছ ছিল। কিন্তু পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই ১২টির অধিক গাছ কেটে বিক্রি করেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি লিটন নন্দী বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পুলিশ ফাঁড়ি মানা যায় না। গাছ কাটার মতো পরিবেশ ধ্বংসকারী কাজ শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবে না। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ অত্যন্ত ঘৃণার। এ বিষয়ে ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুনুর রশিদ বলেন, রাতের আঁধারে অত্যন্ত ন্যক্কারজনক কাজ করা হয়েছে। এখানে ভবন নির্মাণ করা হলে পুরো কার্জন হল এলাকার শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হবে। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়বে এখানকার অবস্থিত শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার, আনোয়ার পাশা ভবন, আবুল খায়ের ভবন, ছাত্রদের ফজলুল হক মুসলিম হলসহ অমর একুশে হল। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আক্তার হুসাইন বলেন, এটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে না জানিয়ে রাতের আঁধারে এ কাজটি করেছে। শাহবাগ থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জমিটা খাস ছিল। পরবর্তীতে সরকার এটি আমাদের দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর