মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বাধা শুল্ক বৈষম্য

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি (লাইট ইমেটিং ডায়োড) বাল্ব তৈরির প্রধান উপকরণ এলইডি চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় আটটি উপকরণ। উপকরণগুলো হচ্ছে— লিড ফ্রিম, ফসপর, ক্যারিয়ার টেপ, প্লাস্টিক রিল, কভার টেপ, গোল্ড ওয়্যার, ডাই অ্যাটাচ মেটেরিয়াল বা অ্যাডহেসিভ এবং রেসিন। সম্পূর্ণ তৈরি এলইডি চিপ আমদানি করতে ৩০ দশমিক ৭৯ শতাংশ কর দিতে হয়। আর এই চিপ দেশেই উৎপাদন করতে যে আট ধরনের কাঁচামাল লাগে সেগুলো আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ থেকে ১৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ পর্যন্ত। এই উৎপাদনবিমুখ শুল্ক বৈষম্যই দেশে এলইডি চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেক উদ্যোক্তার আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে গড়ে উঠছে না এলইডি চিপ তৈরির কারখানা। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে হাইটেক শিল্পে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। উদ্যোক্তাদের পক্ষে ওয়ালটন, যমুনা, মাইওয়ান ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, দেশে এলইডি চিপ তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে যে পরিমাণ কর দিতে হয়, তার চেয়ে অনেক কম কর দিতে হয় সম্পূর্ণ তৈরি চিপ আমদানিতে। ফলে উদ্যোক্তারা দেশে এলইডি চিপ তৈরি না করে তা আমদানি করেই প্রয়োজন মেটাচ্ছেন। এ ধরনের হাইটেক কারখানা স্থাপনে দেশীয় উদ্যোক্তাদের আগ্রহ থাকলেও কাঁচামাল আমদানিতে বৈষম্যমূলক শুল্ক কাঠামো তাদের নিরুৎসাহিত করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর