বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

রাসিকের সিলে চলছে দেড় হাজার ‘যমজ’ অটোরিকশা

প্রতারক চক্র হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরীর কামরুজ্জামান চত্বর। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ট্রাফিক পুলিশের চোখে ধরা পড়লো একই নম্বরের দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ওই দুইটি অটোরিকশা থামানোর পর জানা গেল একই নম্বরে ওই মালিকের চলছে আরও দুইটি অটোরিকশা। শুধু ওই দুইটি অটোরিকশা নয়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সিলে নগরীজুড়ে এমন দেড় হাজার যমজ অটোরিকশা চলছে। একই কাগজে বিভিন্ন রুটে এগুলো চালানো হচ্ছে।

নগর ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন লাইসেন্স না দিলেও প্রতিদিনই নগরীতে অটোরিকশা নামছে। সেগুলোর রেজিস্ট্রেশনের কাগজে সিল থাকছে রাসিকের। ফলে তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে তথ্য আছে প্রায় দেড় হাজার এমন যমজ নম্বরের অটোরিকশা নগরীতে চলাচল করছে।

রাসিক সূত্র জানায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় চলাচলের জন্য ৫ হাজার ৪০০ রিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ রিকশাচালক তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেছেন। কিন্তু নগরীতে চলছে ১৮ হাজার রিকশা। তাদের কাছেও আছে রাসিক কর্মকর্তার দেওয়া সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত লাইসেন্স।

রাসিক কর্মকর্তারা বলছেন, ১ হাজার ৪০০ লাইসেন্সের বাইরে যাদের কাছে লাইসেন্স আছে সেগুলো ভুয়া। বিপুল পরিমাণ এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়ার নামে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সিল-স্বাক্ষর সব থাকলেও এই প্রতারণার দায় নিতে রাজি নন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম। রাসিক সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাসিকের সাধারণ সভায় নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের জন্য মাইকিং ও বিজ্ঞাপনে প্রচারণা চালানো হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার উপ-পরিদর্শক সাইদুল ইসলাম জানান, নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার আর কোনো লাইসেন্স প্রদান করা হবে না। যারা ইতিমধ্যে লাইসেন্স নিয়েছে অথবা লাইসেন্স নবায়ন করেছে, তারাও আগামী ৪ মার্চের পর থেকে নগরীতে রিকশা চালাতে পারবে না।

সর্বশেষ খবর