বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

কেন্দ্রে পদ চান না মিনু-নাদিম

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

কেন্দ্রে পদ চান না মিনু-নাদিম

দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ও নগর রাজনীতির নেতৃত্বে থাকা মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফা এবার কেন্দ্রে পদ চান না। এক নেতার এক পদ—বিএনপির এই নীতির পর দুই নেতাই কেন্দ্রের পরিবর্তে নগর ও জেলার রাজনীতির নেতৃত্বে থাকতে চান। বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে তারা জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে আবারও নগর ও জেলার রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্বে তারাই থাকছেন এমন আভাস দিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। তবে পরিবর্তন আসতে পারে সাধারণ সম্পাদক পদে।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে হাইকমান্ডকে খুশি করতে না পারায় এবার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফাকে। তবে নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশের আশা ছিল তারা দুজনই হয়তো কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাম ঘোষণা হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে তাদের অনুসারীরা হতাশ। নিজেদের মুখ রক্ষার কৌশল হিসেবে তারা কেন্দ্রের পরিবর্তে নগর ও জেলাতে সক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছেন। এই দুই নেতার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, নাদিম মোস্তফা যুগ্ম-মহাসচিব অথবা সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রেখেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাকে রাখা হয়নি। বিশেষ সম্পাদক পদের চেয়ে তাই জেলার সভাপতি পদটি এখন তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে। ফলে কেন্দ্রকে তিনি বিষয়টি জানিয়েও দিয়েছেন।

আগের কমিটিতে নগর বিএনপি সভাপতির পাশাপাশি কেন্দ্রের যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন মিজানুর রহমান মিনু। এবার তাকে যুগ্ম-মহাসচিব রাখা হয়নি। কেন্দ্রে সহসভাপতি পদ ছাড়া অন্য কোনো পদ পেলে নগর রাজনীতিতে তার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। ফলে নগর রাজনীতির নেতৃত্ব ধরে রাখতে আরেকবার নগরের সভাপতি থাকতে চান।

মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফা এখনই এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তারা জানিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা তা মেনে নেবেন। এখনো যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন শেষ হয়নি, ফলে এ নিয়ে  তারা এখন মুখ খুলতে চান না। তবে দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মিজানুর রহমান মিনু স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে তত্পরতা চালাচ্ছেন। কারণ রাজশাহীর মেয়র ও এমপি হিসেবে তিনি দলের চেয়ারপারসনের কাছে জনপ্রিয় মুখ। কাজেই সারপ্রাইজিং পোস্টের অপেক্ষায় আছেন তারা। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহীতে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মিনুকে এখান থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আর একই কারণে নাদিমকে কেন্দ্রের নাম সর্বস্ব কোনো পদ দেওয়া হতে পারে। মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমি দুই মেয়াদে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্মমহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারের ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া বা না পাওয়ার বিষয়টি এমন বড় কোনো ইস্যু নয়। কারণ দলে আমার বর্তমান যে রাজনৈতিক অবস্থান তাতে এসব পদে আমি আগেই দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়া দলের হাইকমান্ড কাকে দায়িত্ব দেবে, আর কাকে দেবে না; সেটা নীতিনির্ধারকদের ব্যাপার।’

সর্বশেষ খবর