বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ক্যাশিয়ারদের ছত্রছায়ায় চলছে অপরাধযজ্ঞ

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

সাবেক পুলিশ সদস্য আবদুল লতিফ ওরফে নানা লতিফ। পদবি নগরীর বন্দর থানার কথিত ‘ক্যাশিয়ার’। থানা পুলিশের অর্গানোগ্রামে ‘ক্যাশিয়ার’ পদটি না থাকলেও তার দাপট রয়েছে বন্দর থানাজুড়ে। ক্ষেত্রবিশেষে কথিত এ ক্যাশিয়ার ‘ক্ষমতার’ দিক দিয়ে ছাড়িয়ে যান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও! তার দাপটে আতঙ্কে থাকেন বন্দর থানার সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে জনসাধারণ। এমনকি তার হুমকি-ধমকি থেকে বাদ যান না পুলিশ সদস্যরাও। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কথিত এ দাপুটে কর্তার সহায়তায় বন্দর এলাকাজুড়ে ওপেন সিক্রেট চলছে মাদক ব্যবসা, তেল ও সোনা চোরাচালান, চট্টগ্রাম বন্দরে চুরিসহ নানান অপরাধ। বিনিময়ে লতিফ নেন লাখ লাখ টাকা মাসহারা। শুধু বন্দর থানার লতিফ নন, নগরীর ১৬ থানা ও ডিবি পুলিশের রয়েছেন কমপক্ষে ২০ ক্যাশিয়ার। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নগরজুড়ে চলছে মাদক, চোরাচালান, ছিনতাইসহ নানা অপরাধযজ্ঞ। সদ্য যোগদান করা সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘পুলিশের ছত্রছায়া থেকে অপরাধ সংঘটিত করা কিংবা অপরাধীদের সঙ্গে আপস করে থানা পরিচালনা কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে।’ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘সিএমপির সদর দফতরে বসে যতই ভালো কাজ করি, তা কোনো কাজে আসবে না যদি মানুষ ভালো পুলিশি সেবা না পায়।’

সর্বশেষ খবর