দাবদাহের প্রভাবে রাজধানী ঢাকার রাজপথ উনুনের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের চেয়ে যা প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে নগরবাসীকে ভুগতে হবে আরও এক সপ্তাহের বেশি। তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এদিকে প্রচণ্ড গরমে খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, শ্রমিক, পথচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে নাভিশ্বাস অবস্থা। স্বস্তি নেই বাসাবাড়িতেও। ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘরে বাইরে সমান গরম। দিনের বেলা রোদের উত্তাপে বাইরে থাকা যায় না। রাতের বেলা ঘরেও তীব্র গরমের আঁচে যেন শরীর পুড়ে যায়। ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছেন না বেশিরভাগ মানুষ। একই পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য স্থানেও। সারা দেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে তীব্র গরম পড়ছে। মাঠের শ্রমিকরা গরমে কাজ করতে পারছেন না। ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল সারা দেশের ওপর দিয়েই দাবদাহ বয়ে গেছে। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন যা ছিল ৩৬.৩ ডিগ্রি। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রি। সারা দেশের পরিস্থিতিও ছিল ভয়াবহ। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২৮.৪০ ডিগ্রি। দাবদাহের প্রভাব আজও অব্যাহত থাকবে। রাজধানীসহ ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, খুলনার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। যা চলতি এপ্রিল মাস জুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশালের কিছু কিছু এলাকায় দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, তীব্র দাবদাহ কয়েক দিন আগে সামান্য কমেছিল। গত তিন-চার দিন ধরে আবারও সারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমার সম্ভাবনা নেই। ঢাকার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরম থেকে স্বস্তি পেতে মানুষজন পান করছেন কোমল পানীয়, ডাব, আইসক্রিম। অধিকাংশ মানুষজনকেই দেখা গেছে রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা হাতে, সানগ্লাস চোখে দিয়ে ও রিকশার হুড উঠিয়ে চলফেরা করতে।