বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিন-লজিস্টিক সংকটে হুমকিতে টিকাদান কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ভ্যাকসিন-লজিস্টিক সংকটে হুমকিতে টিকাদান কর্মসূচি

ভ্যাকসিন ও মালামাল সংকটে চট্টগ্রামে হুমকিতে পড়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। নবজাতক থেকে শুরু করে দেড় মাস বয়সী শিশুদের যক্ষ্মা প্রতিরোধে যে ‘বিসিজি’ টিকা অত্যাবশ্যক তা-ই দেওয়া যাচ্ছে না বিশেষায়িত সিরিঞ্জের অভাবে। এ সংকট পাঁচ মাস ধরে চলছে। ফলে যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের। পাশাপাশি ১৪ সপ্তাহ বয়সী শিশুদের পোলিও রোগ প্রতিরোধে ‘ইনঅ্যাক্টিভেটেড পোলিও ভ্যাকসিন’ বা ‘আইপিভি’ টিকা সরবরাহ তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। সারা দেশে একই অবস্থা চলছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিজি সিরিঞ্জ, আইপিভি টিকার পাশাপাশি সরবরাহ নেই ইপিআই কর্মসূচির টালি শিট, শিশু কার্ডও আনুষ্ঠানিক মুদ্রিত লজিস্টিক সাপোর্ট। ফলে অনেক মাঠকর্মী চাকরি রক্ষার খাতিরে টালি শিট ও টিকাদান কার্ড ফটোকপি করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। মাঠকর্মীরা চাকরি রক্ষা করলেও শিশুর মা-বাবা ও অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কেবল বাড়ছেই। টিকাদান কার্ডের অভাবে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে পারছে না। জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই বিভাগ থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিসিজি সিরিঞ্জ এসেছিল চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি। ওই চালানে ৯ হাজার ৬০০ পিস সিরিঞ্জ পাঠানো হয়েছিল। আইপিভি টিকার সর্বশেষ চালান আসে গত ২১ জানুয়ারি, ৩ হাজার ৩৬০ ভায়েল (বোতল)। এক বোতলে ৫ ডোজ টিকা। এর আগে আইপিভি এসেছিল ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর, ৩ হাজার ৩৬০ ভায়েল।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিসিজি সিরিঞ্জ, আইভিপি টিকা এবং টিকাদান কার্ড, টালি শিট ইত্যাদি ইপিআই সামগ্রীর সরবরাহ নেই এটি সত্য। আমরা ঢাকায় চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। আশা করি, সংকট কেটে যাবে।

নবজাতক ও শিশুরা পোলিও এবং যক্ষ্মার ঝুঁকিতে পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোলিওর ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কারণ আমরা পোলিওর খাওয়ার টিকা কনটিনিউ করতে পারছি।

সর্বশেষ খবর