শনিবার, ৭ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

চসিকের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়

চট্টগ্রাম নগরের সড়কবাতিগুলোকে সৌরবিদ্যুৎ ও এলইডিতে রূপান্তরের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। কিন্তু চার বছর পার হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ৫০ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার ‘সোলার স্ট্রিট লাইটিং প্রোগ্রাম ইন সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটি এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়াতেই থমকে আছে। ফলে নগরের অনেক সড়ক ও গলি-উপ-গলি এখনো রাতের বেলায় অন্ধকারই থাকছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৫৮ কিলোমিটার সড়কে বিদ্যমান সড়কবাতিগুলোকে সৌরবিদ্যুৎ এবং এলইডিতে রূপান্তরের জন্য রেভিনিউ বাজেটের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য চসিককে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিতে হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কো-অর্ডিনেটর  এবং  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সাব কো-অর্ডিনেটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার কথা।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৩ জুন টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। নিয়মানুযায়ী ১৩ জুন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কার্যাদেশ দেওয়ার কথা। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনো পর্যন্ত কার্যাদেশ না হওয়ায় প্রকল্পটি আটকে আছে।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০১২ সালে প্রকল্প নিলেও এখনো তা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আরেকটি বৈঠকের কথা আমাদের জানানো হয়েছে। সেখানে প্রতিটি সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ প্রকৌশলীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩৫০ কিলোমিটার সড়কে সৌরবিদ্যুতের বাতি জ্বালানোর উদ্যোগ নেয় চসিক। ২০১১ সালের ২৯ মে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরামর্শকদের সঙ্গে তৎকালীন মেয়র এম মনজুর আলম এ সংক্রান্ত বৈঠকও করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এডিবি এ খাতে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। ওই সময় প্রকল্পের আওতায় থাকা  সড়কগুলোর মধ্যে ছিল এয়ারপোর্ট থেকে কালুরঘাট ব্রিজ, কর্ণফুলী ব্রিজ থেকে বহদ্দারহাট, নিমতলী  থেকে সিটি গেট, জিইসি মোড় থেকে এ কে খান গেট, দেওয়ানহাট মোড় থেকে নিউমার্কেট এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপসড়ক।

সর্বশেষ খবর