মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গতকাল চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুয়ান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সশস্ত্র বাহিনীতে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে তাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে চাই। এটা যে শুধু যুদ্ধের জন্যই দরকার তা নয়, প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নের জন্যও এর প্রয়োজন রয়েছে।’ গতকাল তার সরকারি বাসভবন গণভবনে চীনের সফররত প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চ্যাং ওয়াংজুয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতসহ নানা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ‘ওয়ান চায়না পলিসি’ বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দ্বিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনো দেশের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। চীনকে বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন-সহযোগী রাষ্ট্র উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়ন কাজে বেইজিং বরাবরই সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ও চীনের কৃষি খাতের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, এতে করে কৃষিনির্ভর দুই দেশেরই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী লাভবান হবে। বিপুল জনগোষ্ঠীর এ দুটি দেশের কৃষি খাতই পারস্পরিক সহযোগিতার অন্যতম ক্ষেত্র হতে পারে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজমান রয়েছে এবং দেশের অর্থনীতিও ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে উল্লেখ করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে।’

চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ: চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুয়ান ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল তিন দিনের সফর শেষে গতকাল ঢাকা ছাড়েন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে বিদায় জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

 এ ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াংসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ কথা জানানো হয়। এর আগে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল চ্যাং ওয়ানকুয়ান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফরকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও, তারা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে তারা বিভিন্ন সামরিক-অসামরিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।

সর্বশেষ খবর