বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

যোগাযোগ বৈকল্য নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন

———— সায়মা ওয়াজেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট শিশু মনস্তত্ত্ববিদ ও অটিজমবিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেছেন, যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে মানুষ নিজেকে প্রকাশ করে। তাই যোগাযোগ বৈকল্য বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

গতকাল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য (কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস) বিভাগের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বক্তব্যে সায়মা ওয়াজেদ আরও বলেন, যোগাযোগ বৈকল্য  বিষয়ে গবেষণা না হলে মানুষের মাঝে, সমাজের মাঝে উন্নতি সৃষ্টি করা যাবে না। যোগাযোগের উন্নতি না হলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে না। ব্যক্তি মানুষের এ সমস্যা পরিবার ও সমাজকে প্রভাবিত করে, তাই এ বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ উন্নত সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হাতে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য। বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফের স্বাগত বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রফেশনাল মাস্টার্সের ছাত্র সৈয়দ মাহবুব হামিল ও প্রথম বর্ষ অনার্সের ছাত্রী হুমায়রা আনজুম বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ ও উৎসাহ দিয়েছেন’ উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রিক চিকিৎসা ও শিক্ষার ওপর প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মানসিক সমস্যা সমাধানে শারীরিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর