বন্যার কারণে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে বেড়েছে ভোজ্যতেল, মাছ ও সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল সকালে রাজধানীর বারিধারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা বেশি হলেও নিত্যপণ্যের দাম ছিল বাড়তি। ফলমূল থেকে শাক-সবজি সবই ক্রেতারা কিনছিলেন চড়া দামে। তবে এ বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম ছিল আগের সপ্তাহের মতোই। গরুর মাংস ৪২০ আর ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া দেশি মুরগি মাঝারি আকৃতির প্রতিটি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এ মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এই কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার কামাল হায়দার বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকটা দিশাহারা। এ ছাড়া দেশে বন্যার প্রভাব নিত্যপণ্যের বাজারে পড়তে শুরু করেছে। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রাজশাহী থেকে রাজধানীতে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিনি কেজিতে ১ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭৫, চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০, মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে দোকানিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আরও দেখা গেছে, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১৪০, মুগ ১০০, খেসারি ৭২ ও ছোলা ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পিয়াজের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে। গতকাল প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। এ ছাড়া আলু ২৪, রসুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৬০ ও গুঁড়া মরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। টমেটো প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০, কাঁকরোল ৫০, বেগুন ৫০, পটোল ৪০, কাঁচা মরিচ ১০০ এবং কাঁচকলা ১ হালি ৩০ ও পুঁইশাক ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।