সিলেট মহানগরীর আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তবে এবার হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে সিসিক। নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাউজিং এস্টেট আবাসিক এলাকা ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল উপশহর এলাকায় বিধিবহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। এ দুই আবাসিক এলাকা থেকে ২৬৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে দুই থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে সিসিক। এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। সিসিকের প্রাথমিক জরিপের তথ্যানুসারে, সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট আবাসিক এলাকায় ৮৯টি এবং শাহজালাল উপশহর এলাকায় ১৭৪টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৬৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে সিসিক।
সিসিক সূত্র জানায়, নগরীর দুটি আবাসিক এলাকার এসব অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থবছরের শুরু থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন করে ইস্যুর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আকার অনুসারে আবাসিক এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে দুই থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এগুলো সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন। এদিকে সিসিকের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।