শিগগিরই ঘোষণা হবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের পাশাপাশি ওয়ার্ড নেতা-কর্মীদের মাঝেও এখন চলছে উৎসাহ। দীর্ঘ তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা। ইতিমধ্যে নগর যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কারা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসছেন সে বিষয়েও আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের মধ্যে। চট্টগ্রামের যুবলীগকে রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে দ্রুত এ কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে ত্যাগ ও যোগ্যতার পাশাপাশি লবিং-তদবিরে আলোচনায় আছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা দিদারুল আলম দিদার, আবদুল মান্নান ফেরদৌস প্রমুখ। এ ছাড়া এ কমিটিতে নতুন নেতৃত্বও আসতে পারেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি দৃশ্যমান কিছু দলীয় কর্মসূচি পালন করলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল রয়েছে অনেক বেশি। ওয়ার্ড কমিটিও করতে পারেনি। তা ছাড়া গত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কর্মকাণ্ড নিয়ে কমিটির আহ্বায়কসহ অধিকাংশ নেতার বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে নগর যুবলীগের নেতৃত্বে কারা আসছেন সে আলোচনাই এখন সবার মুখে মুখে। তবে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বাড়ি চট্টগ্রামে হওয়ায় কে এবং কারা যোগ্য নেতা এবং সাংগঠনিকভাবে দক্ষ সবই তার জানা। তার পরও আলোচনার মাধ্যমেই কমিটি করবেন তিনি। কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছিলেন, নগর যুবলীগের সম্মেলনের মাধ্যমেই দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গঠনতান্ত্রিকভাবে হবে এ কমিটি।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর বাবর বলেন, প্রকৃত নেতাদের তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে। তারাই দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যান। তিনি বলেন, দলকে বিতর্কিত করতে হাইব্রিড অনেক নেতাই নেপথ্যে থেকে অপতত্পরতা চালাচ্ছেন।