টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দশম দিনে গতকালও সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে বিকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারখানার ওই ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গতকালও কারখানার ধ্বংসস্তূপের বিভিন্ন স্থান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সকাল থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ক্রমাগত পানি ছিটিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা। দিনভর উদ্ধার অভিযান চালালেও নিখোঁজ কারও সন্ধান মেলেনি। সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন টাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় গত ১০ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১১ জন। নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য অজ্ঞাত ওই ৬টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়ার আশায় তাদের স্বজনরা অধীর আগ্রহে এখনো কারখানা এলাকায় অপেক্ষা করছেন।
হতাহতদের আর্থিক সহায়তা : টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার হতাহত শ্রমিকদের গতকাল আর্থিক সহায়তা দিয়েছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও স্থানীয় (গাজীপুর-২ আসনের) এমপি জাহিদ আহসান রাসেল তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদের মধ্যে নগদ ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ২০ জনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহত ২৫ জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা এখনো উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একটা লাশও বাকি থাকা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকবে। আরও যদি মৃতদেহ পাওয়া যায় তাদের স্বজনদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তা ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।