নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে যুবলীগ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসছে। দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ এ তিন সাংগঠনিক শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভর করেছে হতাশা। অনেক মেধাবী নেতৃত্বও মুখ থুবড়ে পড়েছেন বলে ধারণা নেতা-কর্মীদের। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে সাংগঠনিক তত্পরতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরে এসে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। বৈঠকে আলোচনার শীর্ষে ছিল এ তিন সাংগঠনিক কমিটি গঠন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পরপরই এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা যায়। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম সফরে এলে কমিটি গঠন নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পরপর চট্টগ্রামের তিন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, কমিটি নিয়ে ইতিমধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। কমিটি ঘোষিত হলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগের নগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে ত্যাগী, যোগ্য ও অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা সাবেক ছাত্রনেতাদের নাম বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। একই সঙ্গে পদ পেতে চলছে জোর তদবির। কমিটিতে স্থান পেতে নানাভাবে আলোচনায় আছেন নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, বর্তমান কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা দেবাশীষ পাল দেবু, দিদারুল আলম দিদার, আবদুল মান্নান ফেরদৌস প্রমুখ। তবে এবার কমিটিতে নতুন নেতৃত্বও আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ নয় বছর পর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি নেতারা। তা ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ। উত্তরে একাই সংগঠন করছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম। দক্ষিণে চলছে জোড়াতালির সংসার।