রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে রবিবার রাতে পাশাপাশি চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে কক্ষের ভিতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করেছে দুর্বৃত্তরা। কম্পিউটারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র থাকলেও দুর্বৃত্তরা তা নিয়ে যায়নি। শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা কী উদ্দেশ্যে কাগজপত্র তছনছ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় এলাকার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আফান উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাহিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এবং মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাহিগঞ্জ সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। নৈশপ্রহরী থাকলেও দুর্বৃত্তরা সীমানা প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে। মাহিগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জাহানারা বেগম জানান, মধ্যরাতে একদল দুর্বৃত্ত তার কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ এবং আলমারিতে থাকা ১৯ হাজার ৭৫৮ টাকা নিয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা মাহিগঞ্জ সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙেও কাগজপত্র তছনছ করে। আফান উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা প্রধান শিক্ষক, অফিস ও শিক্ষকদের কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করে। একই কায়দায় মাহিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেনেরও কাগজপত্র তছনছ করা হয়। এই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মেহের আলী জানান, মুখোশ পরা ১০-১২ জন যুবক সীমানা প্রাচীর টপকে ভিতরে ঢুকে তাকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখায়। একজন তাকে পাহারা দেয় এবং অন্যরা তিনটি কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকালেই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এলাকার মাকদসেবীরাই এ কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান তিনি।