বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশে এখনো রয়ে গেছে আর্সেনিকের ঝুঁকি

কালের কণ্ঠের গোলটেবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এলাকায় এখনো আর্সেনিকের ভয়াবহ ঝুঁকি রয়ে গেছে। ১০-১৫ বছর আগে আর্সেনিকের সচেতনতা সৃষ্টির প্রচার-প্রচারণা থাকলেও মাঝপথে এসে তা থেমে যায়। ফলে সেই অনিরাপদ পানির ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি অসচ্ছল জনগোষ্ঠী। গতকাল কালের কণ্ঠের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আর্সেনিক : জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের পক্ষ থেকে। গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। স্বাগত বক্তব্যে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘১৯৯৩ সালে আমরা প্রথম আর্সেনিকের প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারি। এর পর থেকে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হয়েছে। মাঝখানে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আবারও বিভিন্নভাবে আর্সেনিকের প্রভাব বিস্তার সম্পর্কে শোনা যাচ্ছে। আর্সেনিকমুক্ত দেশ গড়ার বিষয়ে গবেষণা হচ্ছে। আর আর্সেনিক সম্পর্কে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।’

গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের (এনসিডি) পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, এএমআরএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ডা. জাহেদ মো. মাসুদ, নির্বাহী পরিচালক ডা. ফারিবা মাসুদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের হেড অব পলিসি অ্যাডভোকেসি সামিয়া আহমেদ, কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. খায়রুল ইসলাম, প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বিডির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহম্মেদ, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তফা, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, মো. শেখ শাদী রহমতুল্লাহ, মুন্সি মো. হাসানুজ্জামান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মাহফুজুর রহমান ও হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর