সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সম্পূর্ণ বর্জ্যমুক্ত হবে চট্টগ্রাম সিটি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সম্পূর্ণ বর্জ্যমুক্ত হবে চট্টগ্রাম সিটি

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকারে মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সম্পূর্ণরূপে বর্জ্যমুক্ত হবে। ৪১ ওয়ার্ডকে শতভাগ বর্জ্যমুক্ত করতে তিন মাস মেয়াদের পাঁচ দফার একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় গতকাল ১ জানুয়ারি থেকে তিন ওয়ার্ডে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ওয়ার্ডে, ১ মার্চ থেকে ৪টি ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করতে লাগবে ১০ লাখ বিন। ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৫ লাখ। দুই দফা দরপত্রের মাধ্যমে কেনা হবে আরও ৫ লাখ বিন। এ সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে লাগছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। গতকাল দুপুরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নগর ভবনে পরিচ্ছন্ন-স্বাস্থ্যসম্মত নগর গড়তে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। চসিক গতকাল থেকে নগরের গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড, এনায়েত বাজার, পশ্চিম ষোলশহর, পাঠানটুলি, বাগমনিরাম, শুলকবহর ও আলকরণ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ শুরু করে। নিয়ম মতে নগরবাসী প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে বিন করে আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখবে। এরপর চসিকের বর্জ্য অপসারণকর্মী সেগুলো সংগ্রহ করে গাড়িতে করে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলবেন।  নগর পিতা বলেন, আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ পরিচ্ছন্ন, বাসযোগ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত বিশ্বমানের একটি নগর প্রতিষ্ঠা। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছি। ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি করে অটোরিকশা মাইকিং করবে, বিতরণ করা হবে লিফলেট। ৪ জানুয়ারি থেকে চসিকের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিন তদারক করবেন। কেউ যত্রতত্র আবর্জনা ফেললেই তাকে তাত্ক্ষণিক একদিন কারাবাস, অর্থদণ্ডসহ আইনগত নির্ধারিত শাস্তি দেওয়া হবে। 

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এপ্রিল থেকে নগরে আর কোনো ডাস্টবিন থাকবে না। তখন নির্দিষ্ট স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণকর্মীরা সরাসরি বর্জ্য গাড়িতে তুলে ফেলবে। বর্তমান সময়ের মতো যত্রতত্র ডাস্টবিন, পথের মধ্যে খোলা আবর্জনার স্তূপ, জনসম্পৃক্ত স্থানে আবর্জনার দুর্গন্ধ আর থাকবে না।

সর্বশেষ খবর